ফরাক্কায় আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ,বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ পৌঁছতে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ফারাক্কায় বেআইনি জমি দখলের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় সব পক্ষকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি।
“সাত দিনে এমন কিছু নতুন সমস্যা হবে না।” আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ফরাক্কায় জমি দখলের বিরুদ্ধে কৃষকদের করা মামলায় আইনজীবীকে বললেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। প্রসঙ্গত, ফরাক্কায় আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ্ ডেমোক্র্যাটিক রাইটস্)। এলাকার কয়েকজন চাষিদের নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি তাঁরা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, আদানি গোষ্ঠীর এই প্রকল্পের জন্য বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত এই মামলার শুনানির আবেদন করছি। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কত বছর ধরে প্রকল্প চলছে? এত বছর কেন আবেদন করেননি?” তারপরই তাঁর মন্তব্য,”সাত দিনে এমন কিছু সমস্যা নতুন করে বাড়বে না।” বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ পৌঁছতে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ফারাক্কায় বেআইনি জমি দখলের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় সব পক্ষকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন- রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ট্রেনে বসেই হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার করা যাবে পছন্দের খাবার
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। সেখান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর পরিকল্পনা করা হয়। এই কারণেই জমি অধিগ্রহণ করে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় খুঁটি তৈরি করে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু সমস্যা হয় জমি অধিগ্রহণ, জমির ওপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া নিয়ে। চাষিদের বক্তব্য, ফসলের জমির ওপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যে জায়গা থেকে তার টানা হয়েছে, সেখানে প্রচুর পরিমাণ আম, লিচু গাছ রয়েছে। ফলের চাষ করা হয়। তাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষিদের।গত বছর জুলাই মাসে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় দু’পক্ষের মধ্যে। বেনিয়া গ্রামের এই ঘটনার জল আগেও কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছয়। সে সময় এক কৃষকের দায়ের করা মামলায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখে নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।