নিয়োগ দুর্নিতি মামলায় তদন্তের জন্য এবার সিবিআইতে নয়া অফিসার নিয়োগ করলেন আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নয়া অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেন। স্নেহাংশু বিশ্বাস নামে ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় এসে মামলার দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
স্নেহাংশু বিশ্বাস বর্তমানে দিল্লিতে কর্মরত। তাঁকে অবিলম্বে কলকাতায় স্থানান্তর করার জন্য এদিন সিবিআই অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে এখান থেকে বদলি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে ছুটির পরে আদালতে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মুখ বন্ধ খামে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্তের অগ্রগতির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তকারীরা এতদিন ধরে কী কী তদন্ত করেছেন, বিস্তারিতভাবে তাও জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ নভেম্বর।
ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন মামলার শুনানিতে এই বিষয়টি বিচারপতির দৃষ্টি আকষর্ণ করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তারই প্রেক্ষিতে আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় এই বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদনে সিঙ্গল বেঞ্চের উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে এই বিষয়টি বিচারপতির দৃষ্টি আকষর্ণ করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তারই প্রেক্ষিতে আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় এই বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদনে সিঙ্গল বেঞ্চের উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দ্যেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।’ এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দ্যেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।’