বিজেপির প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ সৎকার? হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা, পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পরেও এফআইআর দায়ের হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কোনওরকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল।
আগামী ১৮ অগস্ট এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশের তরফে কেস ডায়েরি-সহ তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন। পুলিশ ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে যে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করেছে, তার ভিত্তিতে হলফনামা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। প্রথমে স্থানীয় এক হাসপাতালে, পরে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গুরুতর জখম ভোলানাথ। পরবর্তীতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
আরও পড়ুন- ফের ইডির সমন এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, এই নিয়ে টানা ১৩…
হাইকোর্টে মামলাটি উঠেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে। প্রথমত, ময়নাতদন্ত ছাড়াই যেভাবে দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। দ্বিতীয়ত, অভিযোগ আসার পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও দাবি মামলাকারীর। সেক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলেই মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। এমন অবস্থায় ভোলানাথ মণ্ডল নামে বিষ্ণুপুরের ওই বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণনাকেন্দ্র ও যে দু’টি হাসপাতালে ওই বিজেপি প্রার্থীর চিকিৎসা চলেছে, সেই দুটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পরেও এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে হাইকোর্টে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, ২১ জুলাই যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেগুলি এখনই এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে।