দুহাজারের বেশি জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টেরl গ্রুপ ডি মামলায় আগামিকালের (শুক্রবার) মধ্যে চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ২ হাজার ৮২০ জনের চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির নির্দেশ, যারা কারচুপি করেছে তাদের প্রত্যেকের চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। এদের তালিকা আবার নতুন করে আপলোড করতে হবে। নোটিস দিতে হবে। সেই সঙ্গে ৬ হাজার ৯৮৮ জন চাকরিপ্রার্থী, যারা অপেক্ষারত রয়েছেন, তাঁদের তালিকা থেকে ওই শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। অপেক্ষমান তালিকায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারও ওএমআর শিটে যদি পরবর্তী সময়ে বিকৃতি পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘দেখা যাক, কার অদৃশ্য হাত আছে এসবের পিছনে।’
প্রসঙ্গত, এই গ্রুপ ডি ওএমআর শিট কারচুপি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ওএমআর শিট কারচুপির কথা। সিবিআই গোয়েন্দারা গাজিয়াবাদ থেকে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছে। সিবিআই যে ওএমআর শিটগুলি দিয়েছে, সেই সবগুলি পরীক্ষা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিন এসএসসির তরফে আদালতে জানানো হয়, প্রায় সাড়ে চার হাজার ওএমআর শিটের মধ্যে ২ হাজার ৮১৯টি ওএমআর শিটে গরমিল হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। সেই কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এসএসসিকে বলেন, ‘যদি আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পান কোনও কারচুপি করা হয়েছে, তাহলে পদক্ষেপ করতেই হবে। অনেক সময় দিয়েছি। এবার তারা আসতে বাধ্য এই আদালতে। কিছুদিন জেলে থাকার ব্যবস্থা করব।’
আরও পড়ুন – ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গিয়েছে তুরস্ক! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি!
প্রসঙ্গত, এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ ছিল ৩৯৫৬ টি। এসএসসি সুপারিশপত্র দিয়েছিল ৩৮৮০ জনের। প্যানেলে নাম ছিল ৩৫০২ জনের এবং অপেক্ষমান তালিকায় ছিলেন ৬৯৮৮ জন। তাঁদের মধ্যে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন ১৯১১ জন। আগামিকাল দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটে সুপারিশ বাতিল করবে এসএসসি। বোর্ড ১২ টা ১০ মিনিটে ওয়েবসাইটে তুলবে নিয়োগ বাতিলের তালিকা।
যেহেতু এসএসসি কেবল নিয়োগের সুপারিশ করে, তাই আগামিকাল দুপুর ১২ টার মধ্যে সেই চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মধ্য শিক্ষা পর্ষদকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সেই নিয়োগ বাতিল করা হয়।
কমিশনের তরফে আদালতকে আগামিকাল হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, সিবিআই এর সঙ্গে কোন ওএমআর শিটগুলিকে মিল পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা এই কারচুপি করেছিলেন, তাদের বরদাস্ত করা হবে না। একদিনও তাদের চাকরিতে রাখা যাবে না।