মিড ডে মিল সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, শুনানির সময় উঠে এল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম। মিড ডে মিলের খাবার চুরির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকাকে অবিলম্বে চাকরি ফেরানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। একইসঙ্গে রাজ্য ও স্কুলকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকার চার বছরের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানিতে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
হুগলির চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দির স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার চুরির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় এক শিক্ষিকাক। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এদিন মামলার শুনানিতে হাজিরা দেন ডিআই। তিনি স্বীকার করে নেন, সাংসদ লকেট অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি কিছু না বুঝেই সাসপেন্ড করেন ওই শিক্ষিকাকে। সেই কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কি লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেই এতকিছু? এর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় জড়িত?’
কেন এমন পরস্থিতি তৈরি হল, সেই বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, সেই সময় স্কুলে কোনও প্রধান শিক্ষিকা বা টিচার ইন চার্জ ছিলেন না। আর এই অব্যবস্থার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্কুল তৎকালীন পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে। আবার পরিচালন সমিতির তরফে দায় চাপানো হয়েছিল স্কুলের চার শিক্ষিকার উপর। পরিচালন সমিতির দাবি ছিল, স্কুলের ৪ শিক্ষিকাই মিড ডে মিলে অচলাবস্থার জন্য দায়ী। তার কয়েকদিনের মধ্যেই সাসপেন্ড করা হয় ওই শিক্ষিকাকে।
আরও পড়ুন – ভাঙড়ের আটটি থানার পরিকাঠামো গড়তে ডিসির নেতৃত্বে মোট চার জন ইনস্পেক্টরকে দায়িত্ব…
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মিড ডে মিল নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। সম্প্রতি মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রও। সংবাদ সংস্থা PTI-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়ে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গতবছর মাত্র ছয় মাসেই কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মিড ডে মিলে।