কমিশনে অভিযোগ, কী ব্য়বস্থা নিলেন কমিশনার? রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের , ভাঙড় নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়ার পর এবার ক্যানিং। ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। এরপর ফের ক্যানিং-১ ব্লকে বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। এই মামলাও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেই চলছে। ক্যানিং-১ ব্লক নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। ২৭৪টি আসনে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি বিরোধীরা বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। সেই মামলার শুনানিপর্বে বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতির। ২৭৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। ক্যানিং-১ ব্লকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। মামলা হয় হাইকোর্টে।
শুনানিপর্বে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘ওরা এত দিন পর আদালতে কেন?’ পাল্টা বিচারপতি বলেন, কী করে আসবে? ২০ জুন এই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অন্য মামলাকারী সিরাজুল ইসলামের আবেদনে। জেলা পুলিশসুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিরাজুলকে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি ফেরাতে। মামলাকারীর বাড়ির সামনে সশস্ত্র বাহিনী রাখতে। সেখানে কী করে এই মামলার আবেদনকারী আদালতে আসবেন, প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
ক্যানিং-১ ব্লকে ২৭৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হন। যা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। মামলাকারী নির্বাচন কমিশনে যে অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে রাজ্য এবং কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার বেলা ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন – অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে হাজারেরও বেশি আসনে পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল
মামলাকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই মামলায়। আদালত বলে, গণতান্ত্রিক দেশে কোনও নাগরিককে বাধা দেওয়া যায় না। কোর্ট জানতে চায়, ১৫ জুন নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মামলাকারী। তারপর কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানাক। পুলিশ কী করছিল?