অভিষেকের রক্ষাকবচের মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে দিলো হাইকোর্ট , হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রক্ষাকবচ মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেখানে আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিদেশে। কুন্তল ঘোষের বক্তব্যের নিরিখে এই রক্ষাকবচ মামলা। শুনানিপর্বে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি ও ইডির আইনজীবী এসভি রাজু।
অভিষেকের আইনজীবীর বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাদের বক্তব্য, কাউকে সমন পাঠানো মানেই তিনি অভিযুক্ত নন। তাঁকে গ্রেফতার করা হবে এমন নয়। ইডির আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, ‘ইডি একবারই নোটিস দিয়েছে। বাকি কথা জানা নেই। সমনের হাজির হওয়ার দিন চলে গেলে সেটা খারিজের জন্য আসা যায় না। এটা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। অত্য়ন্ত সিরিয়াস অভিযোগ। ৪৯ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠর কাছে থেকে। এরকম মামলায় কাউকে ডাকা হচ্ছে মানেই তিনি অভিযুক্ত এমন নয়। লার্জ স্ক্যাম। তাই অনেককে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।’
এরপরই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘আপনারা দু’জন দু’ ধরনের কথা বলছেন। আপনি বলছেন উনি অভিযুক্ত নাও হতে পারেন। আবার সিংভি বলছেন উল্টো কথা। দু’জনে সামনাসামনি হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’ ইডির আইনজীবী এরপরই বলেন, ‘আজ অভিযুক্ত নন। কাল হবেন না এমন বলা হয়নি। ওনার অনুমানকে কেন গুরুত্ব দেব। যে কেউ কাল আদালতে এসে যদি বলে তাঁর অনুমান তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে সেটা কি শুনতে হবে?’ শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন – ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটযন্ত্র হ্যাক করার চেষ্টা করছে বিজেপি’ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর,
আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, কোথাও অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ নেই। সাপ্লিমেন্টারি যে চার্জশিট, সেখানেও নাম নেই। অথচ ১৬ এপ্রিল, ১৯ মে ২০২৩ সমন পাঠানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। ১৪ জুন চতুর্থ সমন পাঠানো হয়। ২০ অগস্ট অভিষেকের দেশে ফেরার কথা। আশঙ্কা তিনি ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে। তাই কোনও পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক।