স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়া, কালীঘাটের কাকু’র প্যারোলে থাকার সময়সীমা বাড়ল , মানতে হবে একাধিক শর্ত , শর্তসাপেক্ষে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর প্যারোলের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে জামিনের আবেদন করে এর আগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সেই আবেদনেরও শুনানি হয়েছিল বিচারপতি ঘোষেরই এজলাসে। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ প্যারোলে তাঁকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয়। তার সময়সীমা ছিল ৩ দিন। আজ শুক্রবার তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এরইমধ্যে হাইকোর্ট প্যারোলের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে থাকতে পারবেন তিনি।
গত ২৬ জুন রাতে হার্ট অ্যাটাকে প্রয়াত হন সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বাণী ভদ্র। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু ইডির হাতে ধৃত। জেল হেফাজত হয়েছে তাঁর। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন জানান। জামিন চেয়েছিলেন তিনি। তবে তা নামঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে প্যারোলে জেল থেকে বেরোনোর অনুমতি পান তিনি।
বেশ কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতে এই সুযোগ তিনি পাবেন। ১৭ জুলাই তাঁকে যথারীতি প্রেসিডেন্সি কারা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে। সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার ইডি অফিসার থাকবেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও থাকবে। স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য সুজয়কৃষ্ণকে যদি বাড়ির বাইরে যেতে হয় তা হলে তা বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে।
আরও পড়ুন – ‘অভিষেকের ধমক খেয়েছিলেন’, ৩১ জন কুড়মি প্রার্থী নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ
অর্থাৎ স্ত্রীর কাজের জন্য তিনি যদি কোনও মন্দির বা অন্য কোথাও যেতে চান, বাড়ি থেকে দূরত্ব হতে হবে ১০ কিলোমিটার। সেখানে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে ইডিকে। যে সময় তিনি প্যারোলে থাকছেন, সর্বক্ষণের গতিবিধি থাকবে নজরদারিতে। কখন তিনি কী করছেন, কার সঙ্গে কথা হচ্ছে সবটাই নজরে থাকবে। এমনকী রেজিস্টারও রাখতে হবে আধিকারিকদের সঙ্গে। তাতেই লেখা থাকবে পুঙ্খানুপুঙ্খ। একইসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির সামনে কোনওরকম ভিড় করা যাবে না বলেও নির্দেশ হাইকোর্টের।