সতর্কবার্তা!পুর নিয়োগ মামলায় ED-CBI-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)। কী করে তদন্তকারী আধিকারিক রাজ্যের কাছে নোটিস দিয়ে পুরসভার হিসাব জানতে চান? আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই সমস্ত তথ্য ওপেন ফোরামেই পাওয়া যায়। তারপরও কী করে তদন্তকারীরা রাজ্যের কাছে পুরআইন জানতে চেয়ে নোটিস পাঠান? এটা তদন্তের অংশ? একইসঙ্গে বিচারপতি এই মামলায় তদন্তকারী ইডি-সিবিআই আধিকারিকের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠান। এরপর সবদিক খতিয়ে দেখে আদালত যদি মনে করে তাহলে শিক্ষা দুর্নীতির তদন্তের মতোই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT) তৈরি করে দিতে পারেন। এমনও হতে পারে আদালতের নজরদারি থাকতে পারে মামলার তদন্তে।
পুরনিয়োগ মামলা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা মোড়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে এ মামলার এজলাস বদল হয়। মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) এজলাসে।
পুরনিয়োগের তদন্ত সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। রাজ্যের আইনজীবী ইডির আধিকারিকদের করা প্রশ্ন নিয়ে সওয়াল করেন। বলেন, এমন কিছু প্রশ্ন তাদের করা হয়েছে, যার উত্তর সহজেই পাওয়া যায়। রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই নোটিস বা প্রশ্ন থেকে সংশয় তৈরি হচ্ছে, আদৌ সিবিআই তদন্তে কতটা আগ্রহী।
আরও পড়ুন – নিয়োগ কেলেঙ্কারি! মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিল ইডি, ‘কিংপিন কে?’ প্রশ্ন বিচারপতির,
এরপরই বিচারপতি সিনহা সিবিআই, ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই নির্দেশ দেন, পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিকদের নাম-সহ বিশদে আদালতকে জানতে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে এই তদন্তে কোনও সিট (SIT) গঠন করা হবে কি না এবং এই তদন্তে আদালতের নজরদারি তে থাকবে কি না।
( সব খবর, ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )