শিক্ষক বদলির নির্দেশ না মানলে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুলের শিক্ষক বদলি নিয়ে এর আগেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সম্প্রতি এই বদলি সংক্রান্ত গাইডলাইনও আনে রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলিতে (School Teacher Transfer) কোর্টের কড়া দাওয়াই। বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। তবে নির্দেশ মতো স্কুলে না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির আরও মন্তব্য, রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান। স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম, তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন। আইনে না থাকলেও হাওড়ার রসপুর স্কুলে নিরাপত্তা কর্মী দিতে নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তা সবার আগে। হাওড়ার কমিশনারকে আদালতের নির্দেশ, সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ওই স্কুলের নিরাপত্তা দিতে। হাওড়ার রসপুর স্কুলের একটি মামলা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
স্কুলের শিক্ষক বদলি নিয়ে এর আগেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সম্প্রতি এই বদলি সংক্রান্ত গাইডলাইনও আনে রাজ্য সরকার। সেখানে বলা হয়, স্কুলে প্রতিটি বিষয়ে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তা প্রথমে দেখা হবে। এরপরই শিক্ষক ও ছাত্রের সংখ্যার অনুপাত দেখে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের পছন্দের জেলাতে বদলির ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনে তাতে বদলও আসতে পারে। জেলার মধ্যে কোনও স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে, প্রাথমিকভাবে তাঁদের পাঠানো হবে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে। যে সব শিক্ষক বা শিক্ষিকার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যাঁদের বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে, যাঁদের অবসরের মাত্র ২ বছর বা তার কম সময় বাকি, তাঁদের যাতে বদলি না করা হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন – আগামী কয়েক দিন কলকাতা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রার পারদ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে অপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ পড়ুয়া আছে। কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই। ২০১৬ সাল থেকে নেই গণিতের শিক্ষকও। তারপরই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, এটা করতে গেলে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয় স্তরে সমস্যা হতে পারে। রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।