শিক্ষক বদলি নিয়ে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের , নয়া বদলি নীতিতে এবার আরও কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

শিক্ষক বদলি নিয়ে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের , নয়া বদলি নীতিতে এবার আরও কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শিক্ষক বদলি নিয়ে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের , নয়া বদলি নীতিতে এবার আরও কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ‘বদলি নীতি মেনে কাজে যোগ দিন শিক্ষকেরা। বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা সার্ভিস ব্রেক হিসেবে গণ্য হবে।’ সোমবার বদলি নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নীতি না মানলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শিক্ষকদের নয়া বদলি নীতি রূপায়নে আরও গতি চান বিচারপতি বসু। বদলি নীতিতে নিমরাজি শিক্ষকদের মামলার সংখ্যা বাড়ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

 

 

 

 

এর আগে সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি হত শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা পছন্দের স্কুল বেছে নিতেন বলে দাবি করেছেন বিচারপতি। এছাড়া সেই পদ্ধতিতে দুর্নীতি হচ্ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিচারপতি বসু মন্তব্য করেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতেই বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকেরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’

 

 

 

 

 

রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নতুন বদলি নীতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের তরফে নতুন নীতি তৈরি করা হয়। সেই নীতির বিরোধিতা করে শর্মিষ্ঠা চন্দ্র নামে এক শিক্ষিকা সহ বেশ কয়েকজন আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি, এক জেলারই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অসুবিধা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এদি ছিল সেই মামলার শুনানি।

 

 

 

আরও পড়ুন –   ‘চোর চোর’ স্লোগান, শুনে কী বললেন পার্থ?

 

 

 

 

এদিন বিচারপতি জানান, বদলি নীতি নিয়ে নানা অসুবিধার কথা জানিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ ব্যাপারে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ চায় আদালত। বিচারপতি উল্লেখ করেন, শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছে, তাই তা মেনে চলতে হবে। না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top