মনোনয়নে ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’ নিয়ে নবান্নের ব্যাখ্যা তলব হাই কোর্টের , মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ! হাই কোর্টের প্রার্থীদের পুলিশি পাহারা দিয়ে মনোননয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও মানা হল না। এমন ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। শুক্রবার মন্তব্য করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, এই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই বিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সঙ্গে কথোপকথন যে ভাবে এগোল:
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য:বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছিল প্রার্থীদের। পুলিশের সামনেই গুলিতে তাঁদের মধ্যে এক জনকে খুন করা হয়। আরও কয়েক জন আক্রান্ত।এক দুষ্কৃতীর বন্দুকের গুলি শেষ হয়ে গেলে তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।ওই দুষ্কৃতী জানান,সওকত মোল্লা পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়েছিলেন।আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে এই ধরনের পরিকল্পনামাফিক হামলা কেন?
বিচারপতি মান্থা:যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে,সাধারণ ঘটনার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ করা উচিত।রাজনৈতিক দলের কথা বাদই দিলাম। আদালত মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।কিন্তু কিছুই পদক্ষেপ চোখে পড়ল না। এটা কী হচ্ছে?আমার আশা ছিল,এত কিছুর পরে ভাঙড় থানা অন্তত এফআইআর করবে।সেটিও করা হল না! এ সব কল্পনা করা যায় না।আদালতের নির্দেশের পরেও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্যের পুলিশ।
আরও পড়ুন – খুন হয়ে যেতে পারেন , নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি নওশাদের,
রাজ্যে মনোনয়ন জমা করাকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে।আইএসএফ,বিজেপি,কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন,বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে।মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন,পুলিশি পাহারার মধ্যেই এক জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক জন আক্রান্ত। তাঁর প্রশ্ন,আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে হামলা হল?এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির নির্দেশ,মামলকারীরা যে সব অভিযোগ করেছেন,তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে।জানাতে হবে,হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। রাজ্যকে আরও জানাতে হবে,আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও যে পুলিশ কর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ,তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।