সাত জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে’, পঞ্চায়েত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের ,পঞ্চায়েত মামলায় রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে চলছিল এই মামলা। শুনানি শেষে রায়দান হল মঙ্গলবার। তবে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রাখা হল। মনোনয়নের দিন বা সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, সেটাও কমিশনের ওপরেই ছেড়ে দিল আদালত।
হাইকোর্টের রায়ে ঠিক কী কী বলা হয়েছে?
কমিশন স্বতন্ত্র স্বাধীন সংস্থা। তাই মনোনয়ন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। এমনটাই জানাল আদালত। মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা।
অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি জানানো হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ, সে বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
সব পোলিং স্টেশনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। যেখানে সম্ভব সেখানে হবে না সেখানে ভিডিয়োগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে।
যেখানে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে হচ্ছে। কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, পোলিং অফিসারকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। যদি কোথাও সম্ভব না হয় তাহলে রাজ্য পুলিশকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। যদি মানা না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে আদালতের রায়ে।
৭টি জেলায় (স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত) এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি জেলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে তারপর কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে। কমিশন বাহিনী চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনী পাঠাবে।
তিন স্তরের গনণা একসঙ্গে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে। এই আর্জি জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা।
বিরোধী দলনেতা তথা মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ আইনকে সম্মান করে যে রায় দিয়েছেন, তাকে আমি স্বাগত জানাই। আদালতের রায়ে শান্তিপূর্ণ, মৃত্যুহীন ভোটের কথা বলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন – কি কারণে এই অস্বস্তিকর গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ? জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী
ভোটের দিন ঘোষণার পরই আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুনানির পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের