অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ,ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে নগদ টাকা জমা করা হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে।অ্যাকাউন্টগুলি ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।আরও সম্পত্তির হদিশ মিলল অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের।শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে বিচারকের কাছে সিবিআই সিজারলিস্ট জমা করল।প্রায় ১ কোটি টাকার নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।৩ টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ৭ টি জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই।ওই সম্পত্তিগুলি সায়গল হোসেনের মা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে।
৭ জুন শেষ শুনানি হয়েছিল আসানসোল সিবিআই আদালতে। শুক্রবার ফের শুনানি ছিল।এদিন অবশ্য নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় ভার্চুয়াল শুনানি সম্ভব হয়নি আসানসোল সিবিআই আদালতে। কিন্তু সায়গল হোসেনের নতুন করে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তির একটি সিজার লিস্ট আদালতে জমা দেয় সিবিআই। যার মধ্যে ৭ টি জমির হদিশ মিলেছে। এই সাতটি জমির মধ্যে একটি সিউড়ি বাকি ৬ টি ডোমকলে পাওয়া গিয়েছে। যার বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য,২০২২ সালের ১০ জুন সিবিআইয়ের হাতে সায়গল হোসেন গ্রেফতার হয়েছিল।প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রথমে আসানসোল জেলে ও পরে তিয়াড় জেলে রয়েছে।এই প্রথম সায়গল দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। ৬ জুলাই রয়েছে শুনানি।তার আগে সায়গলের মা ও স্ত্রীর নামে সম্পত্তির হদিশ ও সিবিআইয়ের সিজারলিস্ট বিপদে ফেলবে বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
যদিও সিবিআইয়ের দাবি, ওই মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে। জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। শুধুমাত্র জমি নয় সায়গলের স্ত্রীর নামে আরও তিনটি প্রাইভেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।ওই তিনটি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন – আগামী রবিবারের মধ্যেই পুরো বাহিনী ঢুকে যাবে বাংলায়
ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে নগদ টাকা জমা করা হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে।অ্যাকাউন্টগুলি ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।এছাড়াও ডোমকলে একটি ইঁটভাটা,সিউড়িতে পাথর খাদানের জন্য জমি,ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্পের হদিশ পেয়েছে সিবিআই।কিন্তু কোনটাই সায়গলের নামে নেই।