দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত দিল দিল্লি আদালত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন মেনে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত।সিবিআই-এর দাবি মেনে নিল আদালত। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত দিল দিল্লি আদালত। আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের দাবি মেনেই এই রায় দিলেন রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক। ফলে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে CGO কমপ্লেক্স থেকে বের করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক এম.কে নাগপালের বেঞ্চে পেশ করা হয় মনীশ সিসদিয়াকে। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মোহিত মাথুর এবং সিদ্ধার্থ আগরওয়াল। মন্ত্রীর জামিনের আবেদন জানান তাঁরা। অন্যদিকে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মণীশ সিসোদিয়াকে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। বাদী-বিবাদী পক্ষের আবেদনের পর বেশ কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। ঘণ্টা খানেক পর অবশেষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন মেনে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত।
গতকাল দিল্লির নয়া আবগারি নীতিতে দুর্নীতি মামলায় মণীশ সিসোদিয়াকে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপর তাঁকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়।
রোড শো করে তিনি সিবিআই দফতরে পৌঁছন। সিবিআই দফতরে যাওয়ার আগেই অনুমান ছিল এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। সিবিআই দফতরে প্রায় ৮ ঘণ্টার বেশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর গতকালই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে দিল্লির দ্বিতীয় মন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেন। এদিকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করার পিছনে যুক্তিও দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সিসোদিয়া যা যা প্রশ্ন করা হয়েছে তার সব উত্তর সন্তোষজনক ছিল না। সিবিআই-র তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, “২০২১-২২ সালের জন্য আবগারি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অনিয়ম এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের টেন্ডার পরবর্তী সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের জন্য দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আবগারি মন্ত্রী, জিএনসিটিডি এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”
আরও পড়ুন –প্রত্যেক দফতরে পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ মমতার
সিবিআই জানিয়েছে, “তিনি (মণীশ সিসোদিয়া) অস্পষ্ট জবাব দিয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রমাণের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তদন্তে সহযোগিতা করেননি।” সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই সব কারণে তাঁদের মনে হয়েছে সিসোদিয়াকে প্রশ্ন করার জন্য হেফাজতে নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে আজ আদালতে পেশ করা হবে সিসোদিয়াকে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের আগেই সমস্ত অভিযোগ নাকচ করে সিসোদিয়া বলেছিলেন তিনি সাত থেকে আট মাসের জেলের জন্য প্রস্তুত।