পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রবিবারের পরে সোমবারেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর এবার দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়কের অফিসে সিবিআই। এদিন সকালে রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার ও উলুবেড়িয়াতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। ডায়মন্ডহারবারের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হালদারের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ ফের ধর্ষণ কলকাতায়, নিউটাউনে মদ্যপ করে তিন বন্ধু মিলে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গণধর্ষণ
সুত্রের খবর, এই এবারের সিবিআই অভিযান সবটাই পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত। তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে সিবিআই হানা। এই মুহূর্তে তিনি বিজেপির বিধায়ক হলেও, তার আগে তিনি রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ওই জেলায় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তারপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়ে তিনি জয়ী হন। কিন্তু রানাঘাট পৌরসভায় তাঁর সময়েই নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই তাঁর কার্যালয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
পাশাপাশি, এদিন সকালে ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার দু’বারের চেয়ারম্যান, বর্তমান কাউন্সিলর মীরা হালদারের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। মূলত ১৬ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। সে বিষয়েই এই তল্লাশি, পাশাপাশি কাউন্সিলরের সঙ্গেও কথা বলছেন আধিকারিকরা। সেভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছিল, এই মামলার মূল চক্রী অয়ন শীলের সংস্থা থেকে নিয়োগের প্রশ্ন কার হাত দিয়ে এসেছিল, এগুলিই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ১৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগই অস্থায়ী কর্মী। তাঁরা প্রত্যেকেই ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা।
উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। চার জন আধিকারিক, সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত অর্জুন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ থাকলেও, তাঁকে এক বছর আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মেয়াদেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। চার জন আধিকারিক, সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত অর্জুন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ থাকলেও, তাঁকে এক বছর আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মেয়াদেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।