মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তোলা হত অর্থ? খবর সিবিআই সূত্রে

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তোলা হত অর্থ? খবর সিবিআই সূত্রে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তোলা হত অর্থ? খবর সিবিআই সূত্রে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে নকল দু’টি ওয়েবসাইট তৈরি করার তথ্যপ্রমাণ এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। অবশ্য পরে ওই ওয়েবসাইটগুলিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত তথ্য হাতে পেতেই গুগলকে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কোন আইপি অ্যাড্রেস এবং মেল আইডি ব্যবহার করে ওই নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল, কবে তা মুছে ফেলা হল, এই সংক্রান্ত তথ্য হাতে পেতেই আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটিকে চিঠি দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করেছে তারা। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, ওই তথ্য হাতে এলে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় যে কতটা গভীর পর্যন্ত ছড়িয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

 

 

 

 

 

 

 

তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদালতে আগেই জানিয়েছিল যে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বাজার থেকে টাকা তুলতেন এজেন্টরা। পরে তা পৌঁছে দেওয়া হত ‘বড় মাথা’দের কাছে। সিবিআই সূত্রে খবর, যে সব চাকরিপ্রার্থী টাকা দিতেন, তাঁদের নাম নকল ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হত। ওয়েবসাইটটি দেখিয়ে তাঁদের বোঝানো হত যে, চাকরি পাকা। এই ভরসায় আরও অনেকেই এজেন্টদের কাছে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি। মূলত টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে চাওয়া প্রার্থীদের আস্থা অর্জনের জন্যই ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

 

 

 

 

 

 

সিবিআই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের নাম দেখে নিশ্চিন্ত হওয়ার পর কোনও একটা সময় ওই ওয়েবসাইট দু’টি মুছে ফেলা হয়। কবে এবং কী ভাবে ওই ওয়েবসাইট দু’টি মুছে ফেলা হল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সেই তদন্তের স্বার্থেই গুগলের কাছে চিঠি দিয়ে তথ্য জানতে চাইতে পারে সিবিআই। আইপি অ্যাড্রেস এবং মেল আইডির হদিস পাওয়া গেলে, এই কাজে কারা যুক্ত ছিলেন, তা-ও জানা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, গুগলকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে তারা। সে ক্ষেত্রে এই দুর্নীতিতে বৃহত্তর চক্রান্তের দিকটি প্রকাশ্যে আসবে বলেও মনে করছে তারা।

 

 

 

আরও পড়ুন – আগামী সপ্তাহে কলকাতায় তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ,সম্ভাবনা নেই বৃষ্টির

 

 

এছারাও জানা গিয়েছে ওই দু’টি ওয়েবসাইট ব্যবহারের নেপথ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক বা একাধিক ‘বড় মাথা’ জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, তা ছাড়া এই কাজ সম্ভব হত না। আপাতভাবে সাইটটি আসল না নকল, তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না। তবে পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটের শেষে (এক্সটেনশন) ‘ডট ইন’ থাকলেও নকল দু’টির শেষে ছিল ‘ডট কম’। মূল সাইটের মধ্যে থেকেই ভুয়ো ওয়েবসাইটের লিঙ্ক মিলত, না ভুয়ো সাইট স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করত, সে সব নিয়ে তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, প্রার্থীদের কাছে ওই লিঙ্ক পাঠানো হত রাতের দিকে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top