৩০% অর্থ মঞ্জুর করেই জল প্রকল্প নিয়ে নাম কিনতে মরিয়া কেন্দ্র। অমরুত-২এ শিলিগুড়ি মেগা জল প্রকল্পের ৭০% অর্থ দেবে রাজ্য সরকার দাবি শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের। তিস্তার জল পরিশোধিত করে সরবরাহ করা হবে শিলিগুড়ি শহরে।মিটতে চলেছে শহরের দীর্ঘ দশকের জলের সমস্যা।
বুধবারই মেগা জল প্রকল্পের জন্য ই টেন্ডারের ডাক দিলো শিলিগুড়ি পুরনিগম।যাতে হাতে কলমে মেগা জল প্রকল্প বাস্তবায়নের সূচনা করলো রাজ্য। বর্তমান তৃনমুল বোর্ড দায়িত্ব নিয়েই দীর্ঘ দিনের দশক পুরোনো জল সমস্যা সমাধানের ৫১১কোটি টাকার মেগা জল প্রকল্পের পরিকল্পনা নেয়। ইতিপূর্বেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৫০০কোটি টাকার মেগা জল প্রকল্পের সার্ভের কাজ সম্পন্ন করে শিলিগুড়ি পুরনিগম রাজ্যকে ডিপিআর পেশ করে। রাজ্যের তরফে মেলে সবুজ সঙ্কেত।
অমরুত -২এর যুক্তরাষ্টীয় পরিকাঠামোয় যৌথ ভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রকে প্ৰকল্প বাবদ নির্দিষ্ট শতাংশ হারে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সেখানে কেন্দ্র সরকারের নিয়মাবলী অনুযায়ী অমরুত দুইয়ের আওতায় ফুলবাড়ি মেগা পানীয় জল প্রকল্প বাবদ রাজ্যের ভাগ ৭০শতাংশ ও কেন্দ্র দেবে ৩০শতাংশ অর্থ। ফলে ৫১১কোটির মেগা জল প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের অধিকাংশ ৭০ শতাংশই দেবে রাজ্য। আর হাতে কলমে সে কাজ এদিন টেন্ডার প্রক্রিয়া ডাকার মাধ্যমে শুরু করে দেওয়া হলো।
আর এরপরই অমরুত দুই নিয়ে শিলিগুড়ি পানীয় জল সমস্যা সমাধানে লম্বা ভাষন পেশ করে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ময়দানে নামেন দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্ট। যা নিয়ে বিজেপিকে রীতিমতো পড়াশুনো করে জেনে কথা বলার পরামর্শ দিলেন মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সমস্যা দীর্ঘদিনের। দ্রুত নগরায়নের কারণে বর্তমানে শহরে পানীয় জলের সংস্থান ৫৫ এমএলডি হলেও জলের চাহিদা রয়েছে ৭৭এমএলডি। আবার ৫৫ এমএলডি জল সরবরাহের কথা হলেও সে পানীয় জল শহরের বিভিন্ন জায়গায় সঠিকভাবে পৌছয় না।
চাহিদার তুলনায় সংস্থান কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলক্লিষ্টতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নাগরিকদের। বুধবার বড় এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া ডেকে বিশদে জানানো হয়েছে। পুরনিগমের জল বিভাগের কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথম ধাপে গাজোলডোবার তিস্তা থেকে জল আনতে একটি ইন্টেক ওয়েল করা হবে, থাকছে পাম্প হাউজ, সাব স্টেশন, নদির জল উত্তোলন করে তিস্তা থেকে ফুলবাড়ী প্রকল্পে আনতে র ওয়াটার পাইপলাইন।নিত্য দিন ২১১.৮০এমএলডির জল তুলে প্রকল্পে প্রক্রিয়াকরনে আনা হবে। ১৮মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই কাজের জন্য কেএমডি থেকে ৪জন ইঞ্জিনিয়ার, একজন সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, একজন এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হবে প্ৰকল্প এর কাজে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব বলেন এই প্রথম এই এত বড় মাপের প্ৰকল্প নির্মাণ কাজ শিলিগুড়ি পুরনিগম নিজেরা করছে। যা নজির এতদিনের পুরনিগমের ইতিহাসে। কেন্দ্রের নাম কেনার লড়াই প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য- ওরা কিছু জানে না। নূন্যতম পড়াশুনোটুকু নেই। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কিছু কাজ কেন্দ্র ও রাজ্যের আংশিক শেয়ার শতাংশ হারে ভাগের মধ্য দিয়ে করা হয়।
আরও পড়ুন – তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভারতের মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলার ভূমিকার প্রদর্শনী
তবে কেন্দ্র সরকার এখন বড় শহর নগরের ক্ষেত্রে তাদের যৌথ ভাগের শতাংশের হার কমিয়ে দিয়েছে।অমরুত দুয়ের মেগা জল প্রকল্পে ৫১১কোটি টাকার প্ৰকল্প। যার মধ্যে অর্থ বরাদ্দে কেন্দ্রের ৩০শতাংশ অংশীদারি রয়েছে। বাকি ৭০শতাংশ রাজ্য অর্থ দেবে। আর কেন্দ্র তো রাজ্যের পেট্রোপন্যে সেসের করের টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। সে রাজ্যের করের টাকাই রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে দেবে।
কাজটা পুরনিগম করবে কেএমডি সহায়তা করবে। মেয়রের কটাক্ষ তারা তো টাকা ছাপিয়ে দিচ্ছে না।