
মাত্র ২ বছর ১১ মাস বয়সেই ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডস এ নাম তুলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ( Chandrakona ) চন্দ্রকোনা টাউনের ইলামবাজার ( Chandrakona ) এলাকার অরিন মালস। তার বাবা অনিন্দ্য মালস বিহারের পাটনার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক।
মা বুলবুল পান গৃহবধূ। ছোট্ট অরিনের সামনে ছবি দেওয়া বিভিন্ন বই মেলে ধরতেন আর বলে যেতেন কোনটা কি। এভাবেই অরিন শিখে ফেলেছে একের পর এক তার অজানা জিনিস। আড়াই বছর বয়সে সে বলতে পারে দেশের নাম , মহাদেশের নাম , সাগর ,মহাসাগরের নাম ।
বহু পশু পাখির নাম । জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর অনলাইনে নিজের সক্ষমতা যাচাইয়ে তার বাবা তাকে বসিয়েছিলেন। এতে সে বর্তমান থেকে বিগত ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পেরেছে। জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি জাতীয় পতাকার অশোক চক্রে থাকা ২৪ টি দন্ড কোনটি কি তা সে বলতে পেরেছে।
আর ও পড়ুন আজ আর মুক্তি নয়, ‘লকআপে’ ( Lockup ) থাকবে পরিমনি
গ্রহ , ( Chandrakona ) উপগ্রহের নামের পাশাপাশি এদের চিহ্নিত করা , শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ , শাক সবজি থেকে ফলমূল সব বলতে ও চিনতে পেরেছে। ইংরেজিতে ৩ অক্ষরের ২০ টি শব্দ , ৩৮ টি সবজি , ৩০ টি পাখি , ৪০ টি পশুর নাম , ৭ টি মহাদেশের নাম বলতে পেরেছে।
এর পাশাপাশি ইংরেজিতে ৩ টি কবিতা বলেছে । এতে বিচারকরাও উচ্ছসিত। ২১ আগষ্ট ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস থেকে তাকে মেডেল , স্মারক , পেন সার্টিফিকেট পাঠানো হয়েছে। তার বাবা জানান , কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই অনলাইনে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস করাতেন। সে চুপ করে বাবার কোলে বসে সব শুনত।
ক্লাস শেষে নিজেই ল্যাপটপ খুলে পশু পাখির ছবি সহ অন্যান্য আরো জানা অজানা জিনিষ দেখত অরিন। অরিনের এই সাফল্যে খুশি তার মা বুলবুল। তিনি জানান , এমনিতে দুস্টু হলেও কোনো বই ওকে দিলে সেসব বলে দিলে চুপ করে শুনত।