
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার ( Cheating ) অভিযোগ বিজেপি কর্মীর। পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে থেকে যে বোমা কারখানার উদ্ধার করে পুলিশ সেই বোমা কারখানা নিশীথ প্রামাণিকের কথাতেই চলত বলে অভিযোগ।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো সারাক্ষণ নিশীথ প্রামাণিকের সাথে থাকতেন ফিরদৌস ইসলাম। তার বাড়িতে থাকা-খাওয়া এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞে তাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য ( Cheating ) করতেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এই ফিরদৌস ইসলামের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন ফিরদৌস ইসলাম।
তিনি বলেন একসময় প্রতিনিয়ত ও যাতায়াত ছিল এবং থাকতেন ও খাওয়া-দাওয়া করতেন মন্ত্রীর বাড়িতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার গোসানিমারির রাজকোটে হোম গার্ডের চাকরি ( Cheating ) দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ২৫ টাকা নেন বর্তমান মন্ত্রী।
তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও না চাকরি হয়েছে না টাকা ফেরত পেয়েছেন এমত অবস্থায় বারবার তার বাড়িতে তিনি ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় জাওয়ান্ডা তাকে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি ফিরদৌস ইসলাম জানান – বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাড়ির সামনে থেকে একটি বোমার কারখানার হদিস পায় পুলিশ। এই বোমা কারখানায় আসাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল দুজন কারিগর এবং ফিরদৌস ব্যক্তিগতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এই কারখানার সাথে এমনকি বেশকিছু বোমা তাকে রাখার কথা ও বলে নিশীথ প্রামাণিকের অনুগামীরা।
আর ও পড়ুন আজ আর মুক্তি নয়, ‘লকআপে’ ( Lockup ) থাকবে পরিমনি
পরবর্তীতে পুলিশ হানা দেওয়ায় আসামের ২ বোমার কারিগরের পাশাপাশি তিনিও ফেরার হয়ে যান। এরপর একদিন নিশীথ প্রামাণিকের অনুগামীরা তাকে তার কাছে রাখা বোমা গুলি নিয়ে আসতেন বললে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে এবং বোমার আঘাতে তার হাত-পা বিভিন্ন জায়গায় চোট লাগে। বর্তমানে চরম খারাপ অবস্থায় কোন রকমে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান ফিরদৌস ইসলাম পাশাপাশি তিনি যোগাযোগ করেন দিনহাটার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহর সাথে।
এই প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ বলেন – ফিরদৌসের কাছ থেকে তিনি ঘটনা শুনেছেন এবং তার এই চরম সময়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যখন এ ঘটনা ঘটেছে সেই সময় দিনহাটা থানার তদানীন্তন আইসি সরাসরি যোগাযোগ ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে। এবং সে কারণেই বোমার আঘাতে একজন আহত হওয়ার পর নিজের পুলিশকে খবর দেওয়ার পরেও দিনহাটা থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। উদয়ন বাবু সরাসরি অভিযোগ আনেন পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বলেন – সাংসদের কথা মতোই চলতে তৎকালীন আইসি। তিনি ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানান এবং অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন। অপরপক্ষে এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী তথা বিধায়িকা মালতি রাভা রায় বলেন – এই সমস্ত কিছু তৃণমূলের চক্রান্ত তবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তাকেই জিজ্ঞাসা করা ভালো এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।
Cheatin ফলে স্বভাবতই এই গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলা জুড়ে। এই সম্পূর্ণ ঘটনা ফিরদৌস ইসলাম লিখিতভাবে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।