গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার যুক্তি,মেলা হিসেবে গঙ্গাসাগর অনন্য। এখানে আগত ৪০-৫০ লাখ মানুষ অত্যন্ত কষ্ট করে আসনে।এটা জাতীয় মেলা করার দরকার আছে। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

এদিন উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলার সঙ্গে এ রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মতে, কুম্ভমলায় রাজ্যকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্য করা হয় না বলে অভিযোগ তাঁর। এর পাশাপাশি, গঙ্গাসাগর মেলাকে ‘জাতীয় মেলা’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবিও তুলেছেন তিনি।সেখানে পৌঁছে গঙ্গাসাগরে রাজ্য সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে তার বিবরণ দেন তিনি।

 

পাশাপাশি, গঙ্গাসাগরে যাতায়াত আরও সুগম হয়েছে বলেও জানান। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দূরকে নিকট করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’’ সেই সূত্রে তিনি তুলে ধরেন উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘কুম্ভমেলা সারা পৃথিবীতে এক বিরল মেলা। কুম্ভমেলায় আকাশ এবং রেলপথের যোগাযোগ দারুণ ভাল। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় মানুষকে জল দিয়ে পেরোতে হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘কোটিখানেক মানুষ’ যাতায়াত করেন জল দিয়েই। মমতার অভিযোগ, ‘‘আমরা কেন্দ্রকে বার বার বলার পরেও আমরা বিচার পাইনি।

আরও পড়ুন – তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভারতের মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলার ভূমিকার প্রদর্শনী

মুড়িগঙ্গার উপরে একটা সেতু প্রয়োজন। কিন্তু, এর খরচ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তা কী ভাবে করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’মমতার মতে, মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরি হলে তা ‘বড় কাজ’ হবে। তবে ‘বিরাট যজ্ঞ’ করতে গেলে ‘যজ্ঞের মালপত্র’ যোগাড় করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সূত্রেই গঙ্গাসাগর মেলাকে ‘জাতীয় মেলা’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কুম্ভমেলায় উত্তরপ্রদেশ টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। আর গঙ্গাসাগর মেলায় ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও উপকার করা হয় না। সম্পূর্ণ খরচটাই রাজ্য সরকারের।’’

মু্খ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমরা এবার দেখাব দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি, কালী মন্দির, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের মন্দিরের রেপ্লিকা। একটি আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে। ইয়াস-এর সময়ে এলাকার সবকিছু ভেঙে গিয়েছিল। আমরা তা ফের মেরামত করে দিয়েছি।  কাকদ্বীপে একটি নতুন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top