সাগরদিঘীতে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সাগরদিঘীতে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সাগরদিঘীতে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই সভাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির ধুমার পাহাড় মাঠে সভাস্থলে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, জঙ্গীপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আখরুজ্জামান, সৌমিক হোসেন, কানায় চন্দ্র মন্ডল, ইমানি বিশ্বাস, আবুতাহের খান সহ জেলার সমস্ত বিধায়কেরা, জেলা তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতৃত্বরা।

 

অন্যদিকে এদিনের এই প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার জেলা শাসক ও ভোলানাথ পান্ডে সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকগন।
মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পাট্টা বিতরন, স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর, ট্রাইসাইকেল বিতরন, লক্ষীর ভান্ডার, কৃষান ক্রেডিট কার্ড, সবুজ সাথী, জয় জোয়ার এই রকম নানান বিভাগে মানুষের হাতে পরিষেবা প্রদান করলেন।

 

সবুজ সাথী অষ্টম পর্যায়ে ১লক্ষ ৩০ হাজার ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল আজ থেকে বিতরন শুরু হল। ঐক্যশ্রী প্রকল্পে ১লক্ষ ৪০ হাজার পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, ৩ লক্ষ ৭২ হাজার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়েছে তাতে ৬ কোটি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী ২১ লক্ষ বিতরন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক নতুন ইউনিট শুরু হয়েছে। আগামী দুবছরে ১৮ লক্ষের বাড়ী বাড়ী জল পৌঁছাবে এবং এই মুহূর্তে ৫ লক্ষ বাড়ীতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কেউ জীবিত নেই

বহরমপুরে ১১ কোটি ব্যয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট করা হয়েছে। ৬৭ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরী করা হয়েছে। ৭০ লক্ষ কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৭০ হাজার রূপশ্রী, ১ কোটি ৮৬ লক্ষ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে , স্বাস্থ্য সাথী তে ৯.৫ কোটি, খাদ্য সাথীতে ৯ কোটি, কাস্ট সার্টিফিকেট ১ কোটি ৫৫ লক্ষ। এইরকম কোন খাতে কত অর্থ প্রদান করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তার নথি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।এমনকি জাকির হোসেনের বাড়ীতে তদন্তকারী দলের হানা প্রসঙ্গে কথা তোলেন তিনি। সুব্রত সাহার অকাল প্রয়ানে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

 

সেই সঙ্গে আগামী দিনে জঙ্গীপুরে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল করার আর্জি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিকল্পনা নিতে বলেন জাকির ও আখরুজ্জামাকে। এমনকি অরিজিৎ সিং র কথা তুলে বলেন। সে জানিয়েছে জঙ্গিপুরে তিনি জঙ্গিপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরি করতে চান। সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে শুভ কামনা জানিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন ১টায়। তারপর কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top