কুস্তিগিরদের সমর্থনে খেলোয়াড়দের নিয়ে মিছিল মমতার, হাজরা থেকে হাঁটলেন রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত, ভারতীয় কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত হাঁটলেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খেলোয়াড়েরা। ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। বেশ কিছু দিন ধরেই কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করছেন কুস্তিগিরেরা। তাঁদের পাশে এ বার মমতাও।
কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ বিজেপির সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিচ্ছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো কুস্তিগির। মঙ্গলবার তাঁরা হরিদ্বারের গঙ্গায় নিজেদের পদক ফেলে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও কুস্তিগিররা পদক বিসর্জন দেননি। কৃষকরা গিয়ে তাঁদের আটকান। কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচ দিনের সময় দিয়েছেন কুস্তিগিরেরা। এর মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না নিলে কুস্তিগিরেরা আরও বড় আন্দোলন করবেন।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকা-সহ বেশ কয়েক জন মহিলা কুস্তিগিরকে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বজরং, সাক্ষীরা। ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো প্রমাণ তারা পায়নি বলে জানিয়েছে। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিররা।
আরও পড়ুন – মার্কিন বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রাহুল,
কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা। কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছে আম জনতা পার্টিও (আপ)। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট দেখা করেছিলেন কুস্তিগিরদের সঙ্গে। কিন্তু বজরংরা চান না তাঁদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং লাগুক। তাঁদের অভিযোগ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। তাঁর শাস্তি চান কুস্তিগিররা।
বুধবার নবান্নে বৈঠক শেষ করে কুস্তিগিরদের সমর্থনে মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ক্রীড়ামন্ত্রীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন কুস্তিগিরদের সমর্থনে একটি মিছিল আয়োজন করার। সেই মতো বুধবার মিছিল বার হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। তিনি রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীও। ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, কৃষ্ণেন্দু রায়, গৌতম সরকার, বিদেশ বসু, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়রাও।