পুরী থেকে ফিরে বীরভূম জেলার সঙ্গে বৈঠকে মমতা ,অনুব্রতহীন বীরভূমে সংগঠনের রাশ নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পুরীতে তাঁর জগন্নাথ মন্দির দর্শন করার কথা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে ফিরেই বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক বসতে পারেন মমতা। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক বসতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকেই মমতা ঘোষণা করেন, প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে জেলার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই ঘোষণার এক দিন পরেই, অর্থাৎ, রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক বসতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
তবে বীরভূমের ওই বৈঠকের দিন ক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। কারণ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ভুবনেশ্বর পৌঁছবেন। বুধবার তিনি যাবেন পুরীর জগন্নাথ দর্শন করতে। বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই মমতার কলকাতায় ফিরে আসার কথা। তার পর বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে বৈঠক হতে পারে আগামী শুক্র কিংবা রবিবার। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ত সফরসূচির কারণে যদি শুক্রবার বৈঠক সম্ভব না হয়, তা হলে সেই বৈঠক হবে রবিবার। তবে বৈঠকের জন্য বীরভূমের জেলা নেতাদের এ বার আর কলকাতায় আসতে হবে না। কারণ, বৈঠক হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।
আরও পড়ুন – দিল্লিতে ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গত বছরের ১১ অগস্ট বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। চলতি মাসের ৭ তারিখ তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) নিয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। গ্রেফতার হওয়ার পর এত দিন দল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও, অনুব্রতকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা। বরং তাঁকে ‘বীরের মর্যাদা’ দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়। অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে তিনি নিজেই বীরভূম জেলা সংগঠনের দেখভাল করবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন।