’দুগ্গা দুগ্গা’, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর ,পরীক্ষার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। তাঁর সহকারীরা জলের বোতল এগিয়ে দেন পরীক্ষার্থীদের দিকে।জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দেখলেন ভবানীপুর গার্লস হাই স্কুল, বেলতলা গার্লস হাই স্কুল, মিত্র ইনস্টিটিউটশনের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তো?’’
মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর গার্লস হাই স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। এই খবর ছড়াতেই কৌতূহলী জনতার ভিড় বাড়ছিল। তার মধ্যে কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক স্লোগান দিতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাত তুলে নিষেধ করেন মমতা। জানান, পরীক্ষা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসলে বুঝতে পারেনি। লোকাল ছেলে তো।’’ এর পর পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরীক্ষার্থীরা তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সহকারীরা জলের বোতল এগিয়ে দেন পরীক্ষার্থীদের দিকে। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যাও, দুগ্গা দুগ্গা।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁকে বেশ কিছু নির্দেশ দেন মমতা। পরে তিনি বলেন, ‘‘ও প্রচুর করে এলাকাবাসীর জন্য।’’ বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলে কনভয় নিয়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – ‘বিভাসের ফ্ল্যাটে’ ইডি হানা! কুন্তলের মুখে শোনা গিয়েছিলো এই নাম
গত কয়েক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় নিয়ম করে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের স্কুলগুলিতে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ বার প্রথম তিন দিনে সেটা হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর সময় তিনি ছিলেন উত্তরবঙ্গ সফরে। শনিবার নবান্নে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সময় করে উঠতে পারেননি। সোমবার জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন স্কুলে স্কুলে খোঁজ নিলেন মমতা। কেমন চলছে পরীক্ষা, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।