রাজমিস্ত্রির পরিবারের শিশুরা বেবি লিগে সুযোগ পেলো। পরিবারে অভাব অনটন পিছু না ছাড়লেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর ইচ্ছে শক্তিই আজ সাফল্যের শীর্ষে। দুই রাজমিস্ত্রি পরিবারের দুই খুদে খেলতে চলেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ১৬ দলীয় বেবি লীগ। জানা যায় নদীয়ার শান্তিপুর আরবান্দী দু’নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাঁচপোতা গ্রামের রাজ শেখ এবং আনোয়ার শেখ দুজনেই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। দুই খুদেরই পিতা পেশাই রাজমিস্ত্রি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে না গেলে সংসার চালানো বড় দায় হয়ে ওঠে, কিন্তু ছেলেদের ফুটবলের প্রতি প্রেম দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারিনি তারা।
আরও পড়ুন – প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরেই বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস!
ভালো অনুশীলনের জন্য নামকরা ক্লাবে ভর্তি না করাতে পারলেও স্থানীয় তরুণ সংঘ নামে একটি ক্লাবে যোগাযোগ করে দুই খুদেরই পিতা, তারপর থেকেই পড়াশুনা সামলে প্রতিনিয়ত মাঠে গিয়ে ফুটবল প্র্যাকটিস করত রাজ শেখ ও আনোয়ার শেখ। খেলার জন্য যে সরঞ্জাম লাগতো তাও কিনে দিতে পারতেন না দুই খুদের পিতা, প্রতিবেশী অথবা পরিচিত কারোর কাছ থেকে চেয়ে চিনতে জার্সি, পায়ের বুট জোগাড় করত, আর দুচোখে স্বপ্ন ছিল তাদের ছেলেরা একদিন শীর্ষে পৌঁছবে। আজ সেই স্বপ্নপূরণ দুই পিতারই। জেলার বিভিন্ন মাঠে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে মন জয় করে ফুটবলপ্রেমীদের, আজ দুই খুদে সমগ্র শান্তিপুরবাসী ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করতে চলেছে।
ছোট্ট বয়সেই সাফল্যের একধাপ পেরিয়ে যেতে আর মাত্র সময়ের অপেক্ষা। যদিও প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে ফুটবলপ্রেমী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ফুটবলাররা বাড়িতে গিয়ে মনোবল যোগাচ্ছেন দুই খুদের। অন্যদিকে স্থানীয় তরুণ সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ক্লাবটি রেজিস্ট্রেশন থাকা সত্ত্বেও কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইনি তারা। তবে আগামী দিনে এভাবেই তাদের মাঠে আরও ধ্রুবতারা প্রতিভার মধ্য দিয়ে জ্বলজ্বল করবে, তবুও অনুশীলন থেকে বিরত কখনোই থাকবেন না তারা বলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বেবি লিগে