বহরমপুর ডিআই অফিসের পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির!

বহরমপুর ডিআই অফিসের পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির! ছেলেকে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন, এই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সুতির গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারি। ‘পলাতক’ তাঁর ছেলে। সুতির গোঠা এআর হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তার তদন্তে বহরমপুর স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) অফিসের ৫ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেল সিআইডি। শুক্রবার ডিএসপি (সিআইডি) মুর্শিদাবাদ শিমুল সরকারের নেতৃত্বে সিআইডির একটি বিশেষ দল ওই কর্মীদের বহরমপুর উকিলাবাদের সিআইডি অফিসে নিয়ে গিয়েছে। শিক্ষা দফতরের অফিস থেকে এ ভাবে পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে জল্পনা।

 

 

 

 

 

 

সিআইডি সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে উপস্থিত পুলিশের শীর্ষকর্তারা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ওই শিক্ষাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। জানা গিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় ওই ৫ জনের ভূমিকা ছিল। তাঁদের জন্য জেলায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত হয়েছিল কি না, তা জানতে তৎপর সিআইডি।

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, জাল নথি ব্যবহার করে ছেলেকে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক অশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই মামলা তদন্তের ভার নেয় সিআইডি। তদন্ত চলাকালীন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন আশিস। আপাতত সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ধৃত আশিস তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি করেছে সিআইডি। অন্য দিকে, তাঁর পুত্র অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই শিক্ষক পলাতক। এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যে জাল নথির ভিত্তিতে অনিমেষকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি, তা মুর্শিদাবাদের স্কুল পরিদর্শক অফিস থেকে লোপাট করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

 

 

 

আরও পড়ুন –  ‘মোদী হটাও’, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ বার তাঁর রাজ্যেই পড়ল পোস্টার!

 

 

 

বহরমপুরের শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে সিআইডির একটি দল বহরমপুরের ডিআই অফিসে হানা দেয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই অফিসের এআই এবং করণিক পদমর্যাদার মোট ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলার সিআইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।