বজবজ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করল সিআইডি! বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নামল সিআইডি। ইতিমধ্যেই সিআইডি এবং ফরেন্সিকের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মহেশতলায় পৌঁছে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন সিআইডির আধিকারিকেরা। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। মহেশতলা থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা। সিআইডির পাশাপাশি মহেশতলায় পৌঁছে তৎপর ফরেন্সিক দলও। ফরেন্সিক আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন।
বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ী পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। বাজি সংগঠনের নেতা কানাই দাসের দাবি, অসাবধানতাবশত এই দুর্ঘটনা। সচেতনতার অভাবে ছাদের মধ্যে বাজি রাখা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে জয়শ্রী ঘাটি (৬৫) এবং পম্পা ঘাটি (১০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর তাঁদের বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক জন। বিস্ফোরণের পর থেকেই এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক, হতাশা গ্রাস করেছিল গ্রামকে। তবে সেই হতাশা বদলে গিয়েছে ক্ষোভে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের মহেশতলার চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ২০ হাজার কেজিরও বেশি বাজি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি বাজি উদ্ধারের ঘটনায় ৫টি আলাদা আলাদা মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৪০ জন। তাঁদের সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন – চাকদহে তৃণমূল যুবনেতাকে লক্ষ্য করে গুলি
রবিবার সন্ধ্যার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে রবিবার রাত থেকেই মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সমগ্র বাজিপাড়া জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। শুরু হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের কাজ। বজবজ এবং তৎসংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি বন্ধ দোকানের দরজা ভেঙে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে।