ভবানীপুর ( Bhavan ) রেকর্ড জয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিন বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শপথ নেবেন। পরিষদীয় ( Bhavan ) মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসেবে ৭ অক্টোবর বিধানসভায় শপথ নেবেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল ৫৮ হাজার ৮৩৫। মমতা মোট ভোট পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৬৩। তাঁর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪২৮ ভোট।
আর ও পড়ুন গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?
তৃণমূল সুপ্রিমোর দুর্দান্ত বিজয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অবস্থান পুনরায় সুনিশ্চিত করেছে। ভবানীপুর উপনির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ নন্দীগ্রামে পরাজয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ৫ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য বিধানসভার সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তিনি ভবানীপুরে জিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিধানসভরা সদস্য বা বিধায়ক নির্বাচিত হলেন।
একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এরপর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর আসনটি মুখ্যমন্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পদত্যাগ করেন। তাঁর পদত্যাগের পর ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ঘোষণা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি ভবানীপুরে টানা তিনবার জয় হাসিল করেন।
মমতার জয়ের পর তাঁর শপথ গ্রহণ কোথায় হবে, কে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজভবন থেকে দিন সাতেক আগে বিধানসভার সচিবালয়ে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। এবার থেকে রাজ্যপাল বিধানসভার সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজভবনের এই চিঠি নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বৈঠকে বসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর তাঁরা রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শপথে অংশ নেবেন না বলে জানান। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর শপথের অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভায় সংঘাত আবার চরমে উঠল বলে মনে করছে ওয়াকবহাল মহল।