শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর তিনি বুধবার বিকালে নবান্নেই সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি যা যা বার্তা দেন, তা এক নজরেঃ
পুজো শান্তিতে কেটেছে, সবাইকে ধন্যবাদ। যা উন্মাদনা দেখা গেল। ব্রিটিস কাউন্সিলের সমীক্ষা ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। আমার ধারনা সংখ্যাটা ৮০ হাজার কোটি। শহর থেকে জেলা সবাই ভাল করেছে।কার্নিভাল ভাল হয়েছে কিন্তু বাংলার সংবাদ মাধ্যম দেখায়নি। জেলার কার্নিভাল যোগ করলে বিশ্বের যে কোনও কার্নিভাল কে ছাড়িয়ে যাবে। আমি নবান্নে আসিনি বলে খবর হয়েছে। আমি বাড়ি থেকে অফিস করেছি।
আরও পড়ুনঃ বিলি না হয়ে স্কুলের ক্যাম্পাসেই অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল
আমার ভুল চিকিৎসায় পায়ে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত নবান্ন থেকে ফাইল গেছে। নজরদারি চালিয়েছি। এখনো ১০০ দিনের টাকা পাইনি। ছোট মিনিস্টার দেখা করব বলেও দেখা করেনি। সংবাদ মাধ্যম ভোট দেয় না দেয় মানুষ। জিএসটির ভাগ আমাদের প্রাপ্য। স্যালাইন চলছিল। বাড়িতে রব করে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে তার হিসেব কোথায়।
১০০ দিনের টাকা না পেলে ভাইফোঁটার পর ১৬ নভেম্বর সবাইকে নিয়ে মিটিং। আবাসনের টাকা বন্ধ। কোনো একটা রাজ্যকে এরকমভাবে শূন্য করে দেওয়া যায়। সব রাস্তা আমরা নিজেদের টাকায় করছি। সিএসআরে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছি। গ্রামীণ ক্ষেত্রে কাজে লাগাবো। কয়লা নেই উৎসবে আলো জ্বলবে না। বাইরে থেকে কিনতে গেলে দাম বেশি পরে। কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।
ভোটের আগে সবাইকে জেলে ভরবে। বলছে কেবল বন্ধ। ছেলেমেয়ে গুলো কাজ করবে কোথায়।
ইলেকশন কমিশন কে ধন্যবাদ। ইন্ডিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। লেফ্ট ফ্রন্টের আমলে ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। বাতিল করতে ৭-৮ বছর লেগেছে। ফুড কর্পোরেশন চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন কৃষকদের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। কিছু রেশন দোকান বাতিল করতে চেয়েছিলাম। আদালতের রায়ের জন্য পারিনি। কোভিডে কোনো অসুবিধা হয়নি। আমরা ১০০ শতাংশ ডিজিটাল কার্ড করে দিয়েছি। বামফ্রন্টের আমলে হওয়া কোনো চাকরি বাতিল করিনি। আমরা সারদা কর্তাকে গ্রেফতার করেছিলাম। এক তরফা একটা পার্টিকে দোষ দিয়ে যাচ্ছ। ক্ষমতায় যখন থাকবেন না তখন সব বেড়বে। আমরাও কাগজ বের করছি।
হলদিয়ায় কোন জমি কততে বিক্রি হয়েছে তার কি আমরা জানতে চেয়েছি। এখানে বিজেপির কতজন সাধু পুরুষ আছে। যারা বলছে তাদেরও বেনামী সম্পত্তি আছে। আমরাও তদন্ত করতে পারি। মানুষ জবাব দেবে।আমরা তৈরি আছি। লড়কে লেঙ্গে ইন্ডিয়া। ক্লাবগুলো সামাজিক কাজ করে তাই টাকা দিয়েছি। আমাদের টাকা অধিকাংশই আমাদের কাছে ফিরে এসেছি। ৫৫ দিন আমি না থাকায় কোনো কাজ বাকি থাকেনি। আমি মাইনে নি না । ভলেন্টারি সার্ভিস দি। ছুটি নিতেই পারি। স্পেনের সফর সরকারি ছিল। ডিস্ক্রেডিট আমার ক্রেডিট সবার।
কেবল নেটওয়ার্ক বন্ধ। খারাপ লাগছে। ১ লা নভেম্বর হয়ে গেল কিন্তু ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কিছু হয়নি। দেশকে কখনো ছোট করতে পারবো না। যখন সব শেষ হবে তখন মুখ খুলব।