কয়লা পাচার মামলা! বিকাশ মিশ্রের বয়ান রেকর্ড, অবশেষে বিকাশ মিশ্রকে হেফাজতে নিয়ে জেরা সিবিআইয়ের! দু’বছর আগে গ্রেফতার। সাত দিনের হেফাজত পেয়েও কয়লা পাচার মামলায় বিকাশ মিশ্রের বয়ান রেকর্ড সম্ভব হয়নি। অসুস্থতার কারণে আড়াই দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বিকাশকে। তারপর থেকে দুবছর কেটে গেলেও বিকাশকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাই শেষমেশ দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চারদিনের জন্য বিকাশ মিশ্রকে নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ১৬ তারিখ সিবিআই গ্রেফতার করে বিকাশ মিশ্রকে। সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই সময় হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সিবিআইয়ের তরফে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। পরে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হওয়ার কারণে তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত শুধু কয়লা পাচার নয়, গরু পাচার মামলাতেও যোগ রয়েছে বিকাশের। এমন কি তার দাদা বিনয় মিশ্র এখনও ফেরার। তার খোঁজে ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে। তাঁর সন্ধানেও খোঁজ চলছে। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা পাঠিয়েছিলেন অনুপ মাজি ওরফে লালা, এমনই দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ২৯ নভেম্বর ২০২০ সালে সিবিআইয়ের তরফে কয়লা পাচার মামলায় এফআইআর রুজু করা হয়। ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলের জনা কয়েক আধিকারিক ও কর্মীর যোগসাজসে কয়লা পাচার হচ্ছে। তাতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে একাধিক ব্যক্তি। এই মর্মে মামলা রুজু হয়। উঠে আসে একের পর নাম। অনুপ মাজি থেকে তার সহযোগীদের নাম। পাচারে সাহায্য করার বিনিময়ে লাভবান হয়েছেন প্রভাবশালীরাও।
আরও পড়ুন – ভুয়ো ‘সিবিআই অফিসার’! লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ! পানশালার লাইসেন্স দেওয়ার নামে প্রতারণা
এই পরিস্থিতিকে বিকাশের বয়ান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সিবিআই। তাই হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যে মামলার রায়ে বিকাশ মিশ্রকে চারদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে জেরার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।