সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে ইডি, কেন বিমানবন্দরে আটকানো হল রুজিরাকে ? কেন লুক আউট নোটিস?

সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে ইডি, কেন বিমানবন্দরে আটকানো হল রুজিরাকে ? কেন লুক আউট নোটিস? কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নাড়ুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের অনুমতিতে বিদেশ যাত্রা করে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার পরও কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শীর্ষ আদালত। কেন রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো হচ্ছে, তা নিয়েও শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশ যাত্রা আটকানোর সম্ভাবনার আশঙ্কাও তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী কপিল সিব্বলের তরফ থেকে।

 

 

 

 

 

আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান, আদালতের নির্দেশ দিয়েই রুজিরা বিদেশ যাচ্ছিলেন। এর আগেও গিয়েছেন। তবে কেন তাঁকে আটকানো হল? এর প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত ইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, লুক আউট নোটিস জারি করার প্রয়োজনীয়তা কেন হল? কারণ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশে যাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ে দেশে ফেরত এসেছেন। অর্থাৎ তাঁরা কথার খেলাপ করেননি। সেক্ষেত্রে নতুন করে কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হল?

 

 

 

 

 

তখনই আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টিও আদালতে তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য ২৬ জুলাই বিদেশ যেতে চান অভিষেক। ৮ অগস্ট অপারেশনের জন্য বিদেশে তাঁর ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ রয়েছে। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে রুজিরা বিমানবন্দরে আটকানোর বিষয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হয় ইডিকে। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।

 

 

 

আরও পড়ুন –   31 জুলাই আসছে নতুন JioBook ল্যাপটপ, কম দামে একাধিক অনবদ্য ফিচার্স, জেনে…

 

 

 

 

কয়লা কাণ্ডে ইডি-র মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে। ৫ জুন কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানো হয়। সেখানে রুজিরাকে ইডি-র তরফে নোটিস ধরানো হয়। তাঁকে ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে ক্লিয়ারেন্সের জন্য অভিবাসন দফতরে গেলে জানানো হয়, রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি থাকলে, সেই ব্যক্তি দেশ ছাড়তে চাইলে, অভিবাসন দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। সেই মতো রুজিরার ক্ষেত্রে অভিবাসন দফতরের তরফে ইডিকে জানানো হয়েছিল। তারপরও কেন আটকানো হয়, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রুজিরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।