মাদক কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য

মাদক কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মাদক কাণ্ডে ( drug ) উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য, গ্রেফতার হতে পারে আরিয়ানের বিশেষ বন্ধু। মাদক কাণ্ডে ( drug ) গ্রেফতার  শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে রেভ পার্টিতে মাদক রাখায় রবিবারই গ্রেফতার হন শাহরুখ খানের সুপুত্র আরিয়ান খান। শনিবার রাতে এনসিবি মুম্বই-গোয়ার ক্রুজে অভিযানে অবৈধ মাদক উদ্ধার করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান খান, ও আরও তারকা সন্তান, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সন্তানেরা। তদন্ত চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

 

সোমবার এনসিবি-র তরফ থেকে জানানো হয় যে শনিবার ঐ মাদক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ জন। কিন্তু এনসিবি কর্তাদের লক্ষ্য ছিল আট থেকে নয় জন, তারমধ্যে অন্যতম নাম শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান ও তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট। যদিও এদিন আরিয়ানের কাছে থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি তবে তাঁর বন্ধু আরবাজের কাছে থেকে পাওয়া গেছে চরস। মোবাইল চ্যাটে চরসের দাম নিয়েও কথোপকথন হয় তাঁদের।

 

আরবাজ ও আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার এনসিবি মুম্বই থেকে আটক করেছিল আরও একজনকে । এই ব্যক্তির নাম শ্রেয়স নায়ার । শ্রেয়স নায়ার আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টের বিশেষ বন্ধু। শ্রেয়সের নাম পাওয়া যায় আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টের মোবাইল থেকেই। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার ড্রাগ নিয়ে কথোপকথন হয়এছে তাঁদের। এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, শ্রেয়স নায়ারও ওই রেভ পার্টিতে যোগ দিতেন, তবে বিশেষ কিছু কারন ঐদিন পার্টিতে যোগ দিতে পারেন নি ।

 

এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, আরিয়ান খান এবং আরবাজ খান এনসিবিকে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না।  তারা তাদের থেকে মাদক সরবরাহ করতেন? সেকথাও তারা সঠিক ভাবে জানাচ্ছেন না। আরবাজ বলছেন যে গোয়ার একজন মাদক সরবরাহকারী তাকে মাদক সরবরাহ করত। মুনমুন জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলের কাছে একজন মাদক ব্যবসায়ী তাকে কিছু মাদকদ্রব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক নাম কেউই বলছেন না। আর তাই জেরা করার জন্য সোমবার শ্রেয়স নায়ারকে গ্রেফতার করতে পারে এনসিবি।

 

উল্লেখ্য, মুম্বাই উপকূলে একটি ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালানোর পর শনিবার রাতে বিভাগের পক্ষ থেকে যে রেভ পার্টির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল, তার সঙ্গে এনসিবি কর্মকর্তারা আরিয়ান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্টার্কিডকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিয়ান খান ছাড়াও মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সস (এনডিপিএস) আইনের 8 (সি), ২০ (বি), ২ এবং ৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....