
কংগ্রেসেই ( Congress ) যোগ দিচ্ছেন পিকে। এবার প্রশান্তের ভবিষ্যত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। কিছু নবীন নেতা তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানালেও অনেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতাই প্রশান্তকে দলে চাইছেন না।
প্রশান্তের কংগ্রেস ( Congress ) যোগের কথা শোনা যেতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন তারা। এমনকী এই বিষয়ে তারা সম্প্রতি বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বলের বাড়িতে বৈঠক করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।এদিকে প্রশান্তের যোগদান নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
অন্যদিকে হাত শিবিরে কিশোরের যোগদানের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয় ব়াহুল গান্ধীর বাসভবনে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-পিকের বৈঠকে ছিলেন পঞ্জাবে কংগ্রেসের ( Congress ) পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতও। আদৌও প্রশান্ত কিশোরকে দলে নেওয়া হবে কিনা নির্ভর করছে সোনিয়া গান্ধীর উপরেই।
পাঞ্জাব কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন হতেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয় জোরদার গুঞ্জন। এমনকী অনেককেই বলতে শোনা যায় আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ উত্তরাখান্ড গুজরাট অর্থাৎ এক কথায় বললে ২০২২-এর কোনও বিধানসভা নির্বাচনেই কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে পাওয়া যাবে না।
আর ও পড়ুন তালিবান জমানায় টিভির পর্দায় এলেন মহিলা সঞ্চালক ( host )
আবার বলতে শোনা যায় সরাসরি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এই রাজনীতির রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হবেন এই বিখ্যাত ভোটকুশলী। এদিকে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর।বর্তমানে পিকে-কে দলে নিতে আপত্তি নেই তাদেরও। কিন্তু প্রশ্ন উঠে সেই সময় উত্তরপ্রদেশে ভবিষ্যত নিয়ে।
সেইবার সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু কাজে আসেনি সেই জোট। অচিরেই পড়েছিল মুখ থুবড়ে। বিফলে যায় পিকের চাল।এদিকে সাম্প্রতিক কালে মোদী বিরোধী লড়াইয়ে তামিলনাড়ুও ও বাংলায় দারুণ সাফল্য পেয়েছে টিম পিকে। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মিশন বাংলা, তামিলনাড়ুর পর তা হলে কি এ বার মিশন ২০২৪? ভোট স্ট্রেটেজিস্ট নাকি কংগ্রেস নেতা কোন ভূমিকায় দেখা যাবে প্রশান্ত কিশোরকে?
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন হতেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয় জোরদার গুঞ্জন। এমনকী অনেককেই বলতে শোনা যায় আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ উত্তরাখান্ড গুজরাট অর্থাৎ এক কথায় বললে ২০২২-এর কোনও বিধানসভা নির্বাচনেই কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে পাওয়া যাবে না।