‘রাজ্যের গাফিলতিতেই কামদুনির অভিযুক্তরা মুক্তি পাচ্ছে’, রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে কংগ্রেস

'রাজ্যের গাফিলতিতেই কামদুনির অভিযুক্তরা মুক্তি পাচ্ছে', রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে কংগ্রেস

১০ বছর আগে ২০১৩ সালে ৭ জুন কামদুনিতে এক কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নৃশংতা হত্যা পর গোটা প্রশাসন নড়ে উঠেছিল। নিম্ন আদালত থেকে তিনজন অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড ও তিনজনকে আজীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে উঠেছিল মামলা। শুক্রবার আদালত ফাঁসির সাজা মকুব করে দিয়ে দুজনকে আজীবন কারাদন্ড দেয়। কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। আর এবার এই রায়ে রাজ্যের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এদিন হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ ‘চাকরিপ্রার্থীরাও রাজভবনের সামনে ধর্ণা দিতে চায়,’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেন শুভেন্দু

‘রাজ্যের গাফিলতিতেই কামদুনির অভিযুক্তরা মুক্তি পাচ্ছে’, অভিযোগ তুলে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভে কংগ্রেস (Congress)। যথাযথ প্রমাণ পেশে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ।

 

শুক্রবার হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর নির্যাতিতা পরিবারের তরফে বলা হয়,’ আমরা চেয়েছিলাম দোষীদের যেনও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হোক। বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কাছে চিঠি দেওয়া, মেল করা সত্ত্বেও কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই অভিযোগ তাঁদের। সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই, এটা তাঁরা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন বলেই দাবি করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়ই তাঁরা চেয়েছিলেন। তাঁদের কথায়,’ ৬ জন দোষী, ৬ জনেরই ফাঁসি চেয়েছিলাম। ১০ বছর আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি।’ কিন্তু এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এদিন তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায় তাঁরা মেনে নিতে নারাজ। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা দেন  টুম্পা কয়াল।

 

কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ-খুনের মামলায় গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের কাছে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হয় স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলের জন্য।

 

শুক্রবার রায় ঘোষণার পরই সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। এরপর রাতে মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেয় হতাশ পরিবার ও কামদুনির প্রতিবাদীরা।

en.wikipedia.org