অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী, অধীরের পাশে তৃণমূল, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, অসংসদীয় কাজের জন্য অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। যতদিন না কমিটি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত লোকসভা থেকে সাসপেন্ড থাকবেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর অভিযোগ, নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে হাউসে ডিস্টার্ব করেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তথ্য ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন। এমন কিছু কথা বলেন যার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কিন্তু তার জন্য কখনও ক্ষমা পর্যন্ত চান না। এরপরই প্রহ্লাদ যোশী স্পিকারের কাছে অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) সাসপেন্ড করার জন্য আবেদন করেন। জানান, অধীর চৌধুরীর এই ধরনের স্বভাবসিদ্ধ অসংসদীয় কাজের বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হোক। কমিটি যতদিন না তদন্ত করে রিপোর্ট দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকুন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। শেষে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেন স্পিকার। সাসপেন্ড করা হয় অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury)।
আরও পড়ুন – নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার প্যানেলে থাকবেন না প্রধান বিচারপতি, বিল পেশ রাজ্যসভায়
নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে হাউসে ডিস্টার্ব করেন অধীর চৌধুরী। তথ্য ছাড়া এমন কিছু কথা বলেন যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এদিনই লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলাকালীন অধীর চৌধুরীর নামে স্পিকারের কাছে এই অভিযোগ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। অবিলম্বে তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি করেন। তাঁর প্রস্তাব মেনে নিন স্পিকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হয়ে যান অধীর।
এদিন অধীরের পাশে দাঁড়িয়ে দেবাংশু লেখেন, ‘বিরোধী দলনেতাকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করার ঘটনা নিন্দনীয়। সরকারি পক্ষের মস্কিষ্ক বিভ্রাট ঘটেছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’ তবে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দেবাংশু। লেখেন, ‘সাসপেন্ড হওয়া ব্যক্তি আরও মন দিয়ে রাজ্য বিজেপির সঙ্গে গোপন ভালবাসা চালিয়ে যান! আর কেন্দ্রীয় স্তরে এভাবেই প্রতিদান পেতে থাকুন।’ অধীরের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তাঁর বরাবরের তীব্র সমালোচক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।তিনি স্পষ্ট বলেন, “অধীরকে সাসপেন্ড করে অন্যায় করেছে। অধীরের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধ আছে।কিন্তু যা হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জার।”