পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) পরবর্তী টার্গেট কি গোয়া (goa)? সামনের বছরই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাবের পাশাপাশি গোয়াতেও বিধানসভা নির্বাচন। দিনকয়েক আগে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের পাল্টা গোয়ার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত ‘ওয়েলকাম’ বলে মন্তব্য করার পর থেকে এহেন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। সেখানে ডেরেক ওব্রায়েন, প্রসূন ব্যানার্জিকে পাঠিয়েছেন মমতা। তার মধ্যেই এবার গোয়া কংগ্রেসে ভাঙন ধরল।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস (congress leader) নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো দলের সঙ্গে ৪০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। তাঁর তৃণমূলে সম্ভাব্য যোগদান ঘিরে সরগরম গোয়া। এর কারণ, কংগ্রেস ছাড়ার আগে পোড়খাওয়া কংগ্রেসি নেতা মমতার ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে স্ট্রিটফাইটার (streetfighter) আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, একই রাজনৈতিক দর্শন, নীতি, পলিসি, কর্মসূচির মধ্যে এরকম লড়াকুদেরই তো চাই। আমি বৃহত্তর স্বার্থে সব কংগ্রেসিরা বিজেপি মোকাবিলায় এক মঞ্চে আসুক চাই। দলবদলের জল্পনা ঘিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লুইজিনহো বলেছেন, মমতা ব্যানার্জি নরেন্দ্র মোদীকে প্রবল বেগ দিয়েছেন। বিজেপিকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলেছেন। বাংলায় জয় হয়েছে মমতা ফর্মূলার। তবে তিনি সরাসরি ঘাসফুলে যোগদানের ইঙ্গিত না দিয়ে জানিয়েছেন, বৃহত্তর কংগ্রেস পরিবারের একজন হয়েই থাকবেন। অনেকে যার অর্থ করছেন এইরকম যে, কংগ্রেস থেকে বেরনো তৃণমূলকেই তিনি বিজেপিকে রোখার সবচেয়ে যোগ্য বলে ভাবছেন।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেছেন, কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা হয় আমার। তাঁরা বলছেন, ৪০ বছরের কংগ্রেসি আমি! আমি কংগ্রেস পরিবারের কংগ্রেসি হয়েই থাকব। চারটে কংগ্রেসের মধ্যে মমতাই মোদী ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের কঠিন লড়াইয়ে ফেলেছেন। মোদী বাংলায় ২০০টা, অমিত শাহ ২৫০টা মিটিং করলেন। তারপর ইডি, সিবিআই তো ছিলই। কিন্তু জিতেছে মমতার ফর্মুলাই। প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে সামিল হয়েছেন। ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে দল।