একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের। এমত অবস্থায় এবার শাসক দলের কর্মীদের কোন পথে চলা উচিত, তা নিয়ে এবার বিশেষ ক্লাস নেওয়ার পক্ষে তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃণমূলের নীচুতলার একাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও আর্থিক ক্ষেত্রেও অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থা দলের নীচু তলার কর্মীদের সঠিক পথ থেকে বিদ্যুতি রুখতে ধারাবাহিকভাবে ক্লাস নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন শোভনদেব।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতাকে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ছয় জিজ্ঞাসা শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়কদের
সংখ্যায় কম হলেও, শাসক দলের একাংশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে আসায় কিছুটা বিরক্ত পরিষদীয় মন্ত্রী। বলছেন, ‘এটাকে আমি দুঃস্বপ্ন বলে মনে করি। আমরা একটা আদর্শ নিয়ে দল করি। সেই জায়গায় এই বিচ্যূতিগুলি আমাদেরই আটকাতে হবে। যাঁরা বিপথগামী হচ্ছেন, দলের সিনিয়র নেতাদেরই তাঁদের আটকাতে হবে। জেলায় জেলায় মিটিং করে, ওরিয়েন্টেশন করে, তাঁদের বোঝাতে হবে। আমি খড়দায় প্রতিনিয়ত এই কাজ করে যাই।’
বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘মানুষের মধ্যে দুটি প্রবৃত্তি থাকে – দেবত্ব ও পশুত্ব। এই দুইয়ের মধ্যে অবিরাম লড়াই চলতে থাকে। যখন পশুত্ব জেতে, তখন মানুষ অন্যায়ের পথে পা দেয়। আর যখন দেবত্ব জেতে, তখন মানুষ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হয়।’
বিধায়কের বক্তব্য, সমাজে ভাল-খারাপ উভয়ই আছে। সেই সমাজ থেকেই মানুষ রাজনীতিতে আসে। যাঁরা রাজনীতিতে আসেন, তাঁরা সমাজের বাইরের কেউ নন। এমন অবস্থায় তাই সঠিক পথ বা দিশা থেকে দলীয় কর্মীদের বিচ্যূতি ঠেকাতে দলকে প্রতিনিয়ত ধারাবাহিকভাবে কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সততার প্রতীক’ হলেও দলের অন্দরে এমন দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ইদ্রিস। বস্তুত, ইদ্রিস একা নন, সাম্প্রতিক অতীতে দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছেন আরও একাধিক বিধায়ক। শৃঙ্খলা ফেরাতে নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছেন আরও একাধিক বিধায়ক। শৃঙ্খলা ফেরাতে নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।