‘আগে তৃণমূল বলত, এখন সিবিআই বলে খেলা হবে…’, তৃণমূলকে খোঁচা সুকান্তর, একের পর এক তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাদ যাননি তৃণমূলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে এবার তৃণমূলকে খোঁচা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়,”আগে তৃণমূল বলতো খেলা হবে। এখন আর বলে না।এখন সিবিআই বলছে খেলা হবে। আমরা বলি খেলা তো সবে শুরু।পঞ্চায়েতে খেলা শুরু হবে। এরপর লোকসভা নির্বাচনে খেলা হবে।তখন থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে খেলার প্রস্তুতি শুরু হবে।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।মঙ্গলবার ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসাজশ আছে কিনা,সে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বলে সূত্রে খবর।এর আগেও একাধিক তৃণমূল নেতাদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলের যাঁরা গুন্ডামি করছে,তাঁদের বলে দিন তোদের নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহারে।কিছুদিন পরে ভাইপো যাবে তিহারে।কারণ এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি।”সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃনমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,”আমি আগেই বলেছিলাম সিপিএম ও কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। কারণ ভোটে জিতলে সে তৃনমূলে যাবে।সেটাই হলো।”
অন্যদিকে,পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে কারন রাজ্য সরকারের দেওয়া নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তাবিত নাম রাজ্যপাল আটকে রেখেছে।এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন,”তৃণমূলের ভুল রয়েছে।তিনটি নাম পাঠানো উচিত ছিল।সেটা করা হয়নি। এখন সবটাই রাজ্যপালের কাছে।এখন যা করার রাজ্যপাল করবে।”পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে হ্যান্ডলুম ও উইভার সেলের সমস্ত নেতা কর্মীদের দলের পাশে থাকার আহ্বান জানান। সম্মেলন শুরুর আগে একটি মিছিল তুফানগঞ্জ শহর পরিক্রমা করে।
আরও পড়ুন – হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় অলিম্পিকের মেডেল ভাসিয়ে দেবেন, হুঁশিয়ারি কুস্তিগীরদের
মঙ্গলবার হ্যান্ডলুম উইভার সেলের উত্তরবঙ্গ জোনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এদিনের বক্তব্যের শুরু থেকেই তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমন করে বলেন,”কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে আর রাজ্য সরকার খেয়ে নিচ্ছে।আর বলছে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে।”