দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট!করমণ্ডলকাণ্ডের ১ মাসের মাথায় রেলের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট,অন্ধকারে আর ঢিল ছোঁড়া নয়।রেল কর্মীর গাফিলতির জেরেই ওডিশায় ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।স্পষ্ট হল দুর্ঘটনার কারণ।করমণ্ডলকাণ্ডের এক মাসের মাথায় এল রেলের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।বালেশ্বর ট্রেন বিপর্যয় নিয়ে রেল মন্ত্রকে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করেছে রেলওয়ে সেফটি কমিশন। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে,সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
উল্লেখ্য,গত ২ জুন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গোটা দেশ।ওডিশার বালেশ্বর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনটি ট্রেন।লুপ লাইনে উঠে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে।যার জেরে দু’টি ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।একইসঙ্গে রেললাইনে ছিটকে পড়ে পাশের ট্র্যাকে থাকা বেঙ্গালুরু-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস।দুর্ঘটনায় প্রাণ হানার ২৯৩ জন যাত্রী।
সংবাদমাধ্যমে রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন,”আমরা চাই না রেল দুর্ঘটনার তদন্ত কোনওভাবে প্রভাবিত হোক কিংবা এই তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হোক।তাই রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কখনই বাইরে প্রকাশ করা হবে না।”তবে রেল আধিকারিকের বক্তব্য,”এখনও CBI-এর তদন্ত চলছে।এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনও কারণ নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।তবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,মানুষের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিগন্যালিং এবং টেলিকম বিভাগে যে কর্মীরা সেই দিন কর্মরত ছিলেন,তাঁদের জন্যই করমণ্ডল এক্সপ্রেস বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। গাফিলতি ছিল ট্রাফিক বিভাগেরও।”
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে,অন ডিউটি রেল কর্মীরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ফলো করেননি।আর তার জেরেই গন্ডোগোলের সূত্রপাত।এমনটাও উল্লেখ রয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে।”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই উচ্চপদস্থ রেল কর্মীর আরও সংযোজন,”রেলওয়ে সেফটি কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে চাই না।যেহেতু CBI-এর তদন্ত চলছে।তবে এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রভাবিত করবে না বা CBI তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপও করবে না।CBI-এর তদন্ত শেষ হলে দু’টি রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে।তারপরই এই ঘটনার কারণ বলা সম্ভব হবে।”
আরও পড়ুন – দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক ,তবে কী এবার বিচ্ছেদ অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার?
জানা গিয়েছে,দক্ষিণ রেলের সার্কেল রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এ এম চৌধুরী এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন।বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তিনিই গত বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা করেছেন রেল মন্ত্রকে।তবে মুখে কুলুপ এঁটেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।