Corona -র তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে সারা দেশে আতঙ্ক থাকলেও বাংলাতে এখনও নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যেহেতু তৃতীয় ওয়েভের একটা সতর্কবার্তা রয়েছে সেই কারণে রাজ্যে ফের একবার বিধি নিষেধ বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে তা দেখে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো।
তবে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণাকে নিয়ে চিন্তা থেকে যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বুলেটিন দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টাতে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে Corona আক্রান্ত ছিলেন ৭৭৩ জন। সেখান থেকে গত ২৪ ঘন্টাতে আরও সংক্রমণ কমেছে। যা স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
চিকিতসকদের একাংশের মতে, আগের থেকে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। মাস্ক পড়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছেন অনেকে। তবে গবেষকদের একাংশ বলছেন, খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। এই সময় করোনা বিধিকে অগ্রাহ্য করা মানে তৃতীয় ওয়েভকে ডেকে নিয়ে আসা। তবে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১৫,৩৭,১৮৫ জন।
আর ও পড়ুন Metro চলাচলের সময়সীমা বাড়লো কলকাতায়, খুশী Metro যাত্রীরা
তবে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টাতে সুস্থতার হার স্বস্তি দিচ্ছে। বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টাতে করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৪৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৫,০৮,৮০০ জন। গত ২৪ ঘন্টাতে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কমেছে। বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৪৮ ঘন্টায় আরও ১৮ জন কমেছে রোগীর সংখ্যা তবে বৃহস্পতিবারের তুলনাতে আজ শুক্রবার মৃতের সংখ্যাটা একটূ বেড়েছে।
বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টাতে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮, ২৭৬ জন। তবে এতে খুব একটা আশঙ্কার কিছু দেখছেন না স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। এই দুই জেলাতে করোনার সংক্রমণের হার উর্ধমুখী।
বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনাতে গত ২৪ ঘন্টাতে ৮৯ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একেবারে নীচেই আছে কলকাতা।তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং। একদিনে সেখানকার ৭৩ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস।