‘কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরেছেন জীবনকৃষ্ণ’, আদালতে দাবি CBI-এর , প্রমাণ লোপাটের মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার আদালতে এমনটাই দাবি করে হেফাজতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধায়ককে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। সোমবার ভোরে বিধায়ককে গ্রেফতার করার পর এদিন দুপুরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। এদিন আদালতে সেই তথ্য়ও জানানো হয়েছে। জীবনকৃষ্ণকে হেফাজতে নিয়ে আরও বেশি তথ্য জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী স্পষ্ট জানান, বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। অযোগ্যদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন বলেও জাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরেছেন এই জীবনকৃষ্ণ। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় কীভাবে মোবাইল ফেলে দিয়ে বিধায়ক প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন, সেই অভিযোগও তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপি করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া, যোগ্যদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগও উঠেছে। হেফাজতে নিয়ে এই অভিযোগগুলিই খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই-এর গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের কাউন্সিলরের পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি, কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
এদিন আদালতে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী বিধায়কের জামিনের আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।’ আরও জানানো হয়, জীবনকৃষ্ণের ২ সন্তান আছে। সেই সন্তান, স্ত্রী যাতে বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে।