চাপ বাড়ল শুভেন্দুর , নাম থাকা সারদাকর্তার চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের, কাঁথি পুর মামলায় ধাক্কা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সারদা কর্তার তোলাবাজি নালিশে এবার কড়া কোপ। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) আবেদনে সাড়া বিচারকের। সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) চিঠি সিবিআইকে (CBI) পাঠানোর নির্দেশ সিএমএম আদালতের। সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। এদিন শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় মুখ্য নগর ও দায়রা আদালত।
আবেদন কার্যত মঞ্জুর হয়ে গেল। যা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এই চিঠি নিয়ে গত বছর যখন গোটা রাজ্যে শোরগোল চলছে তখন কাঁথি পুরসভায় সারদার একটি ফাইল নিখোঁজ নিয়ে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা গিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশকে। সূত্রের খবর, জেলেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সারদা কর্তাকে। যদিও আগেই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আমি যাতে তৃণমূল না ছাড়ি সেই জন্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আমার সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরদিন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন – গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’, অভিষেকের অফিসের প্রাক্তন কর্মী ইডির জালে
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছিলেন, কাঁথি পুরসভা নগদ ও ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কাঁথি পুরসভা এলাকায় সারদা কনক্লেভ প্রকল্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই আবাসন গড়ার জন্য অনুমোদন চাইছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অনুমোদন পেতে রসিদে ও বিনা রসিদে কাঁথি পুরসভাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতেই উল্লেখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নামও। সেই চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কেন এ মামালায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন লাগাতার করতে দেখা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে।