জামিনের জন্য মরিয়া কেষ্ট কন্যা! নিম্ন আদালতে ধাক্কার পর দ্বারস্থ দিল্লি হাইকোর্টে, জামিনের জন্য মরিয়া কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এর আগে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন সুকন্যা। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে নিম্ন আদালতে। এবার তাই উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার সুকন্যা মণ্ডল। শুক্রবার দুপুরে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) জামিনের জন্য আবেদন জানান সুকন্যা। উল্লেখ্য, এর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুকন্যা। কিন্তু সেই আবেদন ধোপে টেকেনি। কেষ্ট-কন্যার আইনজীবী অমিত কুমার নিম্ন আদালতে জানিয়েছিলেন, সুকন্যার একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। সেই কারণে তাঁর চেন্নাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। এসবের মধ্যেই তিনি ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমন অবস্থায় যাতে সুকন্যাকে জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারক রঘুবীর সিং অভিযুক্ত সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। নিম্ন আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। জানা যাচ্ছে, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের স্ত্রী তানিয়া সান্যাল জামিন পাওয়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন সুকন্যার আইনজীবী। তানিয়া সান্যাল জামিন পেলে সুকন্যার কেন জামিন নয়? প্রশ্ন সুকন্যার আইনজীবীর। সোমবার সেই আবেদনের মেনশন হবে দিল্লি হাইকোর্টে। মঙ্গলবার কিংবা বুধবার জামিনের আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেন্দুর ,
জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন ইডির আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানে উল্লেখ রয়েছে, সুকন্যা সমস্ত ব্যবসার দেখভাল করতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিতেন। এর পাশাপাশি ইডির তরফে অনুব্রত মণ্ডলের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, কেষ্ট মণ্ডলের পক্ষে তাঁর হিসাব রক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এত টাকার হেরফের করা সম্ভব ছিল না। এদিকে সুকন্যার মতো একজন শিক্ষিত ও প্রাপ্তবয়স্ক যুবতী কিছু না জেনেই সব কাগজপত্র সই করেছেন, এই তত্ত্বেরও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইডির দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী সুস্থ রয়েছেন সুকন্যা। সেই কথা জানিয়ে, সুকন্যার জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।