পুলিশকে বার্তা সেলিমের, বললেন ‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা নেবেন না’,

পুলিশকে বার্তা সেলিমের, বললেন ‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা নেবেন না’, ভোটের আগে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শুরুর দিন থেকে অশান্তি, রক্তারক্তি, খুনোখুনির অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বললেন, ‘পুলিশের একটি অংশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন গত কয়েকদিন ধরে। প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হামলা, পাড়া ছাড়া করার চেষ্টা, মিথ্যা মামলা দেওয়া, ধরে নিয়ে চলে যাওয়া… প্রার্থীরা প্রচারের বদলে জামিনের জন্য দরখাস্ত করছেন। কয়েক ডজন প্রার্থীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। বেশিরভাগ অবশ্য জামিন পেয়েছেন।’ পুলিশ প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সতর্কও করে দেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। বললেন, ‘পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে বলব – গণতন্ত্রের পরীক্ষা নেবেন না।’

 

 

 

 

 

 

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মানুষে যে জেদ রয়েছে, তাকে পিছনের দরজা থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করবেন না। ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসকে আজ রাত থেকেই পুলিশকে কড়া হাতে সামলাতে হবে। কাল চেহারা কেমন হবে, তা আজ রাতের উপর নির্ভর করবে। রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে যে মৃত্যুগুলি হয়েছে, সেই সবের দায় রাজ্য সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের, দাবি মহম্মদ সেলিমের। বললেন, ‘এর দায় ও দায়িত্ব রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন, পুলিশমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের মাথায়। তাঁদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তাহীনতায় ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সব ভোটকর্মীর নিরাপত্তার দায় ও দায়িত্ব কমিশনকে নিতে হবে। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়। প্রাণ বাঁচান।’

 

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব সামলাতে জেলার পথে পুলিশকর্মীরা, যানজটে নাভিশ্বাস শিয়ালদহ, উল্টোডাঙায়

 

 

 

 

সেলিমের কথায়, রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জোট বাঁধছেন সাধারণ মানুষ। আর সাধারণ মানুষের এই জেদকে যেন ‘পিছনের দরজা থেকে ছুরি’ না মারা হয়, ভোটের আগের দিন পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই আবেদনও করলেন সিপিএম নেতা। বললেন, ‘ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসকে আজ রাত থেকেই পুলিশকে কড়া হাতে সামলাতে হবে। কাল চেহারা কেমন হবে, তা আজ রাতের উপর নির্ভর করবে।’