‘কোনও মন্ত্রী-নেতা যেন আমার এলাকায় নাক না গলায়’, মনোজের নিশানায় অরূপ? জেলার দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও হাওড়া শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি। ‘আমার এলাকায় যেন কেউ নাক না গলায়। এলাকায় কোনও ঘটনা আমার কাছে না জেনে কেউ যেন কোনও মন্তব্য না করেন। সে মন্ত্রী অরূপ হোক অথবা দলের অন্য কেউ।’ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটা দাবি করে বাংলার এই ক্রিকেটার।
মনোজের এই দাবি সামনে আসার পর থেকে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মনোজের আরও দাবি, কাজ করতে গিয়ে তাঁকে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার জন্য নাম না করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন মনোজ।
বুধবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি খবর সম্প্রচার হয়। মনোজ তিওয়ারির বিধায়ক অফিসে ডেকে তাঁর ঘনিষ্ঠরা এক ব্যবসায়ীকে কারখানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনটা অভিযোগ করেন হাওড়ার কাসুন্দিয়ার বাসিন্দা মানস রায় নামে ওই ব্যবসায়ী। এমনকী এই অভিযোগ নিয়ে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও চিঠি দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল বিধায়ক। ওই ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য শরিকদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পরোক্ষে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলাকায় একটা সম্পত্তি নিয়ে শরিকি বিবাদ চলছে। বেশিরভাগ অংশীদার আমার কাছে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। সেই কারণে দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।’ তাঁর ঘনিষ্ঠরা ওই ব্যবসায়ীকে কোনও হুমকি দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন মনোজ।
মানস রায় নামে এক ব্যক্তি অন্য শরিকদের সম্পত্তি জোর করে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন মনোজ। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কি শরিকি বিবাদে কথা বলতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবে শিবপুরের বিধায়ক বলেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ নই। শরিকদের মধ্যে একজন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। তাই গোটা বিষয়টি আমি মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’
মানস রায় নামের ওই ব্যবসায়ী আজ মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে দেখা করছেন। মনোজের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে আমি কোনও কিছু বলতে চাই না।’
আরও পড়ুন – তৃতীয় বার বিয়ে করছেন আমির খান! ইন্ডাস্ট্রির অন্দর থেকেই দিনক্ষণ ফাঁস
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়কেও এই নিয়ে কটাক্ষ করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী অরূপ রায় কোনও কিছু না জেনেবুঝেই এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করে কোনও কিছু বললেই ভালো হত। দলের শীর্ষনেতৃত্বকে গোটা বিষয়ের কথা জানানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’