সরকারকে বার্তা রাজ্যপালের , ‘যেভাবে ঠিক মনে হবে, কর্তব্য পালন করব…’, ‘ভারতীয় সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে আমার যে রকমভাবে কাজ করতে ইচ্ছা করবে, আমি করবো…।’ তাঁর গতিবিধি নিয়ে শাসক দলের তরফে সমালোচনা উড়ে এলেও স্পষ্ট বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে ‘অশান্ত’ ভাঙড়,ক্যানিং পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল।কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দল। তবে কর্তব্যে তিনি অনড় বলে জবাব রাজ্যপালের।
প্রাক নির্বাচন উত্তাল রাজনীতিতে গত কয়েকদিন রাজ্য-রাজ্যপাল দূরত্ব অনেকখানি বেড়েছে।রাজ্যপাল নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দলের’ক্যাডার’এর মতো ভূমিকা পালন করছেন বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।এমনকি পরিস্হিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে,যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পোশাক,রোদচশমা নিয়েও কটাক্ষ করা হয়।
একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন,”আমার যেটা ঠিক মনে হবে,সেই পথেই আমার কর্তব্য পালন করব।ভারতীয় সংবিধান এবং আইন মেনেই এবং বাংলার স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সেটা হবে।”যদিও, রাজ্যপাল এদিন জানিয়েছেন,”আমাকে কোনও জায়গায় যেতে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।তবে বাইরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যা আলোচনা করছেন,এটা তাঁদের অধিকার।” রাজ্যপালের স্পর্শকাতর এলাকা পরিদর্শনের বিষয়টিকে অবশ্য ইতিমধ্যে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে চূড়ান্ত অশান্তি, রক্তপাত হতে দেখা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ও ক্যানিং-এ।পরপর দুই দিন ধরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড় ও ক্যানিং পরিদর্শনে যান।সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।বোঝার চেষ্টা করেন পুরো পরিস্থিতি।তবে তাঁর এই স্পর্শকাতর এলাকা পরিদর্শন কর্মসূচির বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠে আসে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে।বিরোধীদের অভিযোগে তিনি ‘ ধুনো দিচ্ছেন’ বলে কটাক্ষ শোনা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে।ট্রেন দুর্ঘটনায় কেউ মৃত হলে বা শাসক দলের কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে রাজ্যপালকে সেখানে দেখা যায় না,তবে বিরোধীদের চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গায় তিনি পরিদর্শন করছেন – এরকম অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন – উপাচার্য নিয়োগ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি কেন? জবাব তলব প্রধান বিচারপতির
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন,”রাজ্যপাল তাঁর মতো করে করছেন।যদিও তাঁর কাজের একটা সীমা রয়েছে।তিনি নির্দেশ দিতে পারেন সরকারকে কিন্তু এই সরকার কারও নির্দেশ মানে না। আদালতকেও মানে না। রাজ্যপাল যেখানে সন্ত্রাস,সেখানে যাচ্ছেন।”যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া উচিত বলে জানান দিলীপ।