
মনে ভয় চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ! তবুও তালিবানীদের ফিরেও তালিবানীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ দার্জিলিং-এর ( Darjeeling ) বাসিন্দারা। তালিবানীদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে কাবুলে আটকে ভারতীয়দের সমস্যা হতে পারে বলে মুখে কুলুপেতে বাড়ি ফিরল কাবুলে আটকে থাকা রাজেশ থাপা সহ পাহাড়ের ( Darjeeling ) বাসিন্দারা। কাবুলে আটকে থাকার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে কিভাবে তাদের বের করা হয়েছে কিভাবে তারা দেশে ফিরলেন তা বলতে জেন কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল তাদের কথা,আতঙ্কের ছাপ তাদের চোখে মুখে এখনও স্পষ্ট। ভয়ানক অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে নারাজ তারা।
সোমবার দুপুরে আফগানিস্তানের কাবুল থেকে দেশে ফিরলেন দার্জিলিংএর ( Darjeeling ) বাসিন্দা রাজেশ থাপা সহ পাহাড়ের ১০ জন বাসিন্দা। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান কাবুলে আটকে থাকা ১০ জন পাহাড়বাসী। এই খবর ছড়াতেই খুশির আবহ পরিবারের সকলের মধ্যে।
আর ও পড়ুন আজব ঘটনা (Strange fact), পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে দুধ, আবার খনিক দূরে গিয়ে তা দুধে পরিণত হচ্ছে
গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কাবুল থেকে বায়ুসেনার বিমানে দিল্লি ফেরার পর সেখানে তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট হয় এবং এরপর দিল্লি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে বাগডোগরা ফেরেন।
তালবানী সরকার গঠন করতে অস্ত্র হাতে নিয়েছে তান্ডব চালাচ্ছে তালিবানী সংগঠন। সেই কারণেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে সেখানে আটকে থাকা প্রত্যেকে। বাড়ি ফিরতে মরিয়া ভারতীয়রা সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা যারা আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন।
১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন। যখন সারা ভারতবর্ষে নাগরিকেরা মেতে উঠেছিল স্বাধীনতা দিবস পালন করতে। ঠিক সেই দিনই আফগানিস্তান দখল করে তালিবানীরা রাজ শুরু করে । শুরু করে তান্ডব। চলে গুলে। বহু মানুষ ঘর ছাড়া। পাচ্ছেনা খাওয়ার। প্রান উষ্ঠাগত আফগানিস্তানে আটকে থাকা মানুষদের। শুধু তাই নয় নওয়া খাওয়া ভুলেছেন আটকে থাকা আটকে থাকা মানুষদের পরিবারের লোকেরা।
রাজেশ থাপা জানান, নিজের দেশে ফিরে আজ সত্যি ভালো লাগছে। যখন বেঁচে থাকার আসা ছেড়ে দিয়েছিলাম সেই সময় সরকারের সাহায্য দেশে ফিরতে পেরে খুশি। তবে আরও দুই একদিন দেরি হলে সমস্যা হতে পারত। ওখানকার অভিজ্ঞতা কথা বললে কাবুলে আটকে থাকা ভারতীয়দের সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু বলতে চাই না।