আইআইএম-আইপিএম ম্যানেজমেন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান দখল করে কর্পোরেট গ্ল্যামার জগতের ভবিষ্যত হতে চলেছে মফস্বলের সোনার ছেলে দেবার্ণব (Debarnab) । অবশ্যই তার আগে পড়াশোনা সম্পন্ন হতে হবে। মফস্বল এলাকার কাছে বি বি এ বা এম বি এ পর্যন্ত হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তুআইআইএম এবং আই পি এমের নাম খুবই কম জন শুনেছেন।
তাই বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা দেবার্ণবের এই সাফল্য অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান আইআইএমের পীঠস্থান হলো ইন্দোর।
সেখান থেকে ইতিমধ্যেই ভর্তির প্রস্তাব পেয়েছেন সিউড়ির লেভেলফিল্ড স্কুলের ছাত্র দেবার্ণব। আইআইএমের অধীনে মূলত ম্যানেজমেন্টের পিজি কোর্স পড়ানো হয়। কয়েক বছর থেকেই আইআইএমের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ম্যানেজমেন্ট পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। আইপিএমের পুরো নাম ইন্টিগ্রেটেড প্রোগ্রাম ইন ম্যানেজমেন্ট।
আর ও পড়ুন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে এবার কি আসতে চলেছেন শাহরুখ (Shah Rukh) কন্যা সুহানা (Suhana) খান?
দ্বাদশ উত্তীর্ন হলেই প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে আইআইএম অন্তর্ভূক্ত প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তর থেকেই ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা সূযোগ পান পড়ুয়ারা। দেশের প্রচুর ছেলেমেয়ে প্রতিবছর এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও সীমিত সংখ্যক পড়ুয়ারাই উত্তীর্ণ হয়।
এই সংখ্যা অনেক সময় দুশো জনের মধ্যে একজনও হয় না। একমাত্র দেশের বাছাই করা আইআইএম প্রতিষ্ঠানেই এই পড়াশুনার সুযোগ আছে। সেই প্রবেশিকা পরীক্ষাতেই এবার বীরভূমের মত এক প্রত্যন্ত জেলা থেকে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান দখল করেছেন দেবার্নব চ্যাটার্জী। দেবার্ণব সিউড়ির লেভেলফিল্ড স্কুল থেকে কেমব্রিজ বোর্ডের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ন হয়েছে।
তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল যথাক্রমে ৯১.৫ ও ৮৮.৫ শতাংশ। গণিত ও অর্থনীতি- এই দুই বিষয়ই দেবার্ণবের (Debarnab) খুব প্রিয়। দেবার্ণব (Debarnab) জানিয়েছেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে এতবড় সাফল্য পেয়ে। তবে ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা করে কর্পোরেট জগত প্রবেশ করে নিজের উন্নতি নয়, চাই দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনায় অংশ নিতে।’’ দেবার্ণবের বাবা একজন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। নাম দিব্যেন্দু চ্যাটার্জী।
তিনি জানান, ‘‘আমাদের মত প্রত্যন্ত মফস্বলের ছেলেমেয়েদের কাছে আইআইএম, আইপিএম ইত্যাদি বিষয়গুলি এখনও অজানা । তার উপর গাইডেরও অভাব তো আছেই। সর্বভারতীয় স্তরের এই ধরনের সফলতায় ধারাবাহিকতা আসুক এটাই চাই।’’