আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীওয়ালকে সিবিআই তলব ,হাজিরা দিতে হবে আগামী রবিবার ,নতুন আবগারি নীতি-মামলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সিবিআই ( CBI) তলব । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬ এপ্রিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) সিবিআই তলব করা হয়েছে। আবগারি-মামলায় আগেই গ্রেফতার দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া। কেজরিওয়াল সরকার এই কেসে ‘সর্বোচ্চ স্তরে’ জড়িত বলে অভিযোগ করে এজেন্সির দাবি, এই নীতি নির্ধারণে কোটি কোটি লাভ করে তা আম আদমি পার্টির গত বছর গোয়ায় নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়েছে আপ। বিজেপির বিরুদ্ধে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছু দিন ধরেই সক্রিয় সিবিআই। বারং বার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় সিসৌদিয়াকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে। সিসৌদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীই মিলে গেছে
এদিকে সম্প্রতি জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কেজরিওয়াল। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘এত স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় দলের মর্যাদা? এটা অত্যাশ্চর্য ঘটনার থেকে কোনও অংশে কম নয়। সকলকে অভিনন্দন। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের এখানে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’ তার পরেই কেজরিওয়ালকে এজেন্সির ডাকার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন – কেন্দ্র জেলে পাঠালেও, কেষ্ট এখনও কেন জেলা সভাপতি? মমতাকে প্রশ্ন শাহের
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) সম্প্রতি সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন মণীশ সিসৌদিয়া। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকেন। বিকল্প রাস্তা ধরতে সিসৌদিয়াকে পরামর্শ দেন তিনি। তার পরই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মণীশ সিসৌদিয়া (Manish Sisodia)। নিরপেক্ষ তদন্তের খাতিরেই সিসৌদিয়ার কাছ থেকে যাবতীয় প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া জরুরি বলে আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। তাতে সম্মতি দেয় আদালত। এর পরই দিল্লির সরকারে তাঁদের থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিজেপি-র তরফে এ নিয়ে আক্রমণ করা হয় দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারকে।